বিজিবি’র মেজর মাহাবুব শফিক আলমের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার
“আমি নষ্ট হবো না-সমাজকে নষ্ট করতে দিবো না”



খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী: মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য,এই সমাজে শান্তি ও সুখে থাকার জন্য আমরা অনেক যোদ্ধ করে থাকি। মরণ নেশা নিয়ে যোদ্ধা করে দেশ ও সমাজ, সংসারে কেহ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। আর দেশ যখন উন্নতির দিকে যাচ্ছে ঠিক একই ভাবে সীমান্ত বিজিবি সদস্যরা মাদক প্রতিরোধে বলিষ্ট ভ’মিকা রেখে চলেছেন। আজ এমন একটি বীরসেনা সীমান্ত বিজিবির বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের কথা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বিশেষ প্রতিবেদনটি। তিনি হলেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (কুমিল্লা সেক্টর) এর উপ অধিনায়ক মেজর মাহাবুব শফিক আলম।
২২ মে ২০১৭ইং পরন্ত বিকালে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাদক নিরোধকল্পে অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও মোহনা টিভি’র এই প্রতিনিধির সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। তাঁর কাছে মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ কল্পে বর্ডার গার্ড’র বিশেষ অবদানের কিছু কথা জানতে চাইলে, তিনি এক বাক্যে বলে ফেলেন;“আমি নষ্ট হবো না,সমাজকে নষ্ট করতে দিবো না।” এই শ্লোগানকে সামনে নিয়েই আমার পথ চলা। সীমান্ত এলাকায় মাদকদ্রব্য চোরাচালান, মানব পাচার ও জঙ্গি তৎপরতা নিরোধকল্পে জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় সভা চলছে ও চলবে।
১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সরাইল (কুমিল্লা সেক্টর) এর উপ-অধিনায়ক মেজর মাহাবুব শফিক আলম বলেন; নিজ নিজ পরিবার থেকে এই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক চোরাচালান, মানব পাচার ও জঙ্গি তৎপরতা রোধ সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন; বিজিবি সাধারণ জনগণের পাশাপাশি শিক্ষক, ইমাম, জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে সম্মিলিতভাবে মাদক চোরাচালান প্রতিহত করার কথা বলেন। আমাদের সমাজে “মাদক একটি ভয়াবহ সমস্যা”। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজের পাশাপাশি সমাজের ক্ষতি করছেন। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কসবায় প্রায় ১৯ কি:মিটার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামান্য কিছু বিজিবি সদস্যরা বলিষ্ট ভ’মিকা নিয়ে দিনরাত্রি সীমান্ত টহল পরিচালনা করে আসছেন। যদি সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের অধিক আগ্রহে সহযোগিতা করেন,তা হলে সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড শতভাগ না হলেও ৯০ ভাগ নির্মূল হবে বলে মনে করি।
আমাদের সরকার চাচ্ছে মাদক সেবনে যেন কোনো শিক্ষার্থীদের মেধা শূন্য হয়ে অকালে ঝড়ে না পড়ে। মাদক দ্রব্য চোরাচালান,মানব পাচার ও জঙ্গি তৎপরতা রোধে বিজিবি সরাইল কর্তৃক সচেতনতা বৃদ্ধি ক্ষেত্রে সব ধরনের মতবিনিময় সভা বিশেষ ভ’মিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। একই সাথে আমি গর্বের সাথে বলতে চাই, মিডিয়া সবচেয়ে বেশী বলিষ্ট ভ’মিকা রাখতে পারে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিজিবি’র পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।