৭৫ এর পরে দেশে গণতন্ত্র ছিলোনা, ছিলো হত্যাযজ্ঞ….আইনমন্ত্রী
রুবেল আহমেদ ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামাত চেয়েছিলো ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য। সেই বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার কায়েরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল গনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ৭৫ এর পরে দেশে গণতন্ত্র ছিলোনা। ছিলো হত্যাযজ্ঞ। ছিলো মানুষকে হত্যা করার লীলাখেলা। । বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসে এই দেশটাকে আন্দোলন সংগ্রাম করে মুলধারায় ফিরিয়ে আনেন। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এসব হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার কাজ করেন। ২০০১ সালে আবারও তাকে ওই চক্র নির্বাচনে হারায়। আবারও হত্যার লীলাখেলা চলে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি-জামাত ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে চিরতরে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি জামাতের গা জ্বলছে। এরা বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রের তকমা লাগিয়েছিলো । বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল । জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামাত নির্বাচনে না এসে সারা দেশে মানুষ হত্যা করছে।
তিনি জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দিন আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমার ও আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক হলো ভালোবাসার। এই সম্পর্ক ছিন্ন হবার নয়। আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন আপনাদের সেবা করতে। আমি গত দশ বছর আপনাদের জন্য কাজ করেছি। আমি আপনাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাই। এসময় হাজার হাজার জনতা সমস্বরে দুহাত তুলে তাঁকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
আপনাদের মনে রাখতে হবে কসবা হলো মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। দ’ুলাখ নারী পাক বাহিনীর কাছে সম্ভ্রম হারিয়েছে। এই দেশ অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। জাতীর পিতার ঋন আমরা পরিশোধ করতে পারিনি। ১৯৭৫ সালে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য তাঁকে হত্যা করে দেশটাকে আবারো পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো।
কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী সভাপতি মো.জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কায়েমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা.সুলতান আহাম্মেদ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কসবা পৌর মেয়র এম.জি .হাক্কানী,উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, কুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান স্বপন, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল আজিজ, কসবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকীসহ দলীয় উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।