এপারের হারুন দেলোয়ার ওপারে জাহাঙ্গীর দুলাল
কসবা উপজেলায় মাদকের রমরমা ব্যবসা (১)



কসবা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কসবা উপজেলা। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রতিনিয়িত চলছে লাখ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি ব্যবসা। যেন আম কাঠালের মৌসুমের মত। প্রতি দিবা রাত্রি প্রকাশ্যে হাত বাড়ালেই মাদক। কসবা রেলষ্টেশনকে টাগের্ট করেই গড়ে উঠেছে শক্তিশালী চোরাচালান মাফিয়া সিন্ডিকেট।
এপারে আছেন হারুন ও গংগানগরের দেলোয়ার আর ওপারে মিয়া পাড়ার জাহাঙ্গীর ও দুলাল। এই ৪ জন মাফিয়াই নিয়ন্ত্রণ করছেন দুই পারের চোরাচালন। কসবা সদর দিয়ে এই চার মাফিয়ার কথার বাইরে কোনো পন্যই এপার-ওপার হয় না। মাদকসহ অন্যান্য পণ্য চোরাচালানের নিয়ন্ত্রক তারাই। তাদের কথাই সেখানে শেষ কথা।
ষ্টেশন,ট্রেন আর রেলপথ কারা ইজারা নেবে-এই ৪ মাফিয়াই ঠিক করে দেয় বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। আর বায়েক ইউপি সালদা দিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতি দলের নেতা মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে গোপীনাথ পুর ইউপির জয়নগর, ধজনগর, রামপুরসহ সীমান্ত এলাকাটি। এটি জাকির,শাহিনগং সিন্ডিকেটের দখলে। তাদের কাজ চোরাচালান। তারা এপারের ওপারের থানা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ ধরে রিং লিডার হিসেবে নিজেদেরকে ধরে রেখেছেন। এই সিন্ডিটের রয়েছে অঘোষিত লাইনম্যান। আর মাফিয়ারা কসবা সদর রেলষ্টেশন, বায়েক, জয়নগর দিয়ে বিপুল পরিমান মাদক পাচার করছে বলে সূত্র টি জানায়।
নাম মাত্র কিছু সেবনকারী ও মাদক পাচারকারীকে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আটকসহ গ্রেফতার হলেও বাস্তবে নাকি কতিপয় লাইনম্যানরা লাখ লাখ টাকার মাদক পাচার বাণিজ্য জমজমাট করে তুলেছে বলে জানা গেছে।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান,তিনি মাদক প্রতিরোধে কঠোর। কিন্ত বাস্তব চিত্র ভিন্ন। কসবা রেলষ্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল রাত্রি লাখ লাখ টাকার মাদক দ্রব্য প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ চোরাচালানিরা বস্তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে যাতায়ত করছে।
গত ৩১ মে ২০১৭ইং সকালে ঢাকাগামী ড্রেমো ট্রেনে কসবা রেলষ্টেশন এলাকায় এই দৃশ্য গুলো আমাদের প্রতিবেদক ক্যামেরা বন্দি করেছে। যেন কসবা থানা পুলিশ ও বর্ডার গার্ড দায়িত্বরতদের এই ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যথা নেই বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এক কথায় কসবা রেলষ্টেশন যেন মাদক চোরাচালানিদের ওপেন রুট হিসেবে বিস্তার লাভ করেছে।। জেলা পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান পিপিএম(বার) সব সময় বলে আসছেন, এই জেলায় মাদক থাকবে, না হয় আমি থাকবো। কিন্ত কসবায় হচ্ছে কি?