খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা প্রতিনিধি: কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ,উপজেলা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কসবা উপজেলা শাখা, হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান এক্য পরিষদ কসবা উপজেলা শাখা গতকাল এক লিখিত প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেন। লিভিত প্রতিবাদসূত্রে প্রকাশ ঐক্যন্যাপের সভাপতি ও সামজিক আন্দোলনের নেতা পঙ্কজ ভূট্রাচার্য একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি প্রথম আলো পত্রিকার ২১ নভেম্বর ২০১৬,  ১০ পৃষ্ঠায় নাসিরনগর ও সাওতাল পল্লিতে রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই বিশেষ সাক্ষাৎকারটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে ২৫ ও ২৬ নম্বর লাইনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আনিসুল হককে নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে তিনি এলাকায় নিয়মিত আসেন না এবং আওয়ামীলীগের জেলা সভাপতির সাথে দ্বন্ধ রয়েছে। উক্ত বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয় প্রতিমাসে কমপক্ষে একদিন হলেও নির্বাচনী এলাকায় আসেন। সুসর্ম্পক রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি র.আ.ম ওবায়দুল মোক্তাদীর চৌধুরী এম.পি এবং সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারসহ জেলার নেতৃবৃন্দের সাথে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্বাচনী এলাকার সভা-সমাবেশে জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় নির্বাচিত হওয়ার পর কসবা-আখাউড়ার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা স্বাধীনতার পর এত উন্নয়ন হয়নি। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে কসবা-আখাউড়া অনেক বেকার ও কর্মহীন মানুষের। মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। কসবা-আখাউড়ায় সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি রয়েছে। নাসিরনগর সংঘর্ষের পর তাৎক্ষনিক ভাবে মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে কসবা-আখাউড়া প্রত্যেক মন্দিরে আওয়ামীলীগ ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দদের সংগে নিয়ে সাম্প্রদাীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সভা সমাবেশ করা হয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি কসবা-আখাউড়া এলাকায় সকল সময়ের চেয়ে খুব ভাল অবস্থা রয়েছে। সকল ধর্মের লোকজন শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করছেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ছোট ভাই আরিফুল রণি গুরুতর অসুস্থ। তিনি আমেরিকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। নাসিরনগর এলাকায় সংখ্যালগুদের সংঘর্ষের সময় তিনি অসুস্থ্য ভাইকে দেখতে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি নাসিরনগর যেতে পারেননি। আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তিনি রাষ্ট্রীয় কাজে ফিলিপাইন গিয়েছেন। আমরা উক্ত প্রকাশিত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদ লিপিতে স্বাক্ষর করেন, কসবা পৌর মেয়র মো: এমরান উদ্দিন জুয়েল,কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এম জি হাক্কানী, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন ািরমন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কসবা উপজেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সাহা, হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান এক্য পরিষদ কসবা উপজেলা শাখা সভাপতি পিযুষ কান্তি রায় ও সাধারণ সম্পাদক রতন সাহা প্রমুখ।