কসবায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাসেল গ্রেপ্তার
কসবা প্রতিনিধি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চাঞ্চল্যকর সুমা আক্তার হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাসেল মিয়া (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্্যাব। মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গতকাল বুধবার রাসেলকে কসবা থানায় হস্তান্তর করে র্্যাব। পরে দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত রাসেল মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করে কসবা থানা পুলিশ। রাসেল মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের খিরনাল গ্রামের আবু তাহের মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ২০১৩ সালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সুমা আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় রাসেল মিয়ার সাথে। বিয়ের সময় একটি অটোরিক্সা, এক ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ বিশ হাজার টাকা যৌতুক বাবদ দেয়া হয় । এরপরও যৌতুকের জন্য অমানবিক নির্যাতন করতো স্বামী রাসেল মিয়া। নির্যাতন সইতে না পেরে বিয়ের দুই বছরের মাথায় বাবার বাড়ি চলে যায় সুমা। পরে স্বামীর যৌতুকের বলী থেকে বাঁচতে ২০১৫ সালের ৩১ মে স্বামী রাসেল মিয়াকে ডিভোর্স দেয় স্ত্রী সুমা আক্তার। এতে ক্ষিপ্ত হয় রাসেল মিয়া। ডিভোর্সের প্রায় চার মাস পরে ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় সুমাদের বাড়ীতে গিয়ে উৎ পেতে থাকে ঘাতক রাসেল মিয়া । সন্ধ্যার পরে এই ঘর অন্য ঘরে যাওয়ার সময় সুমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় রাসেল মিয়া। পরে সুমার চিৎকারে ঘর থেকে পরিবারের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থা দেখে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পরদিন সুমার বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো অভিযুক্ত রাসেল মিয়া। নিহত সুমার বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ৭ আগষ্ট ২০২৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অভিযুক্ত রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদানসহ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সুমা হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া পলাতক ছিলো। মঙ্গলবার রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে র্্যাব- ৯ গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার কসবা থানায় সোপর্দ করে। ওইদিনই দুপুরেই রাসেল মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
« আওয়ামীলীগের ব্যানার টানিয়ে সরকারি খাল দখল করে দোকন ঘর নির্মাণ (পূর্বের সংবাদ)