১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অভিযান:: আখাউড়া সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ১০ যুবক এবং নারী আটক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: অদ্য ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখ ১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, সরাইল এর আজমপুর সীমান্ত ফাঁড়ীর হাবিলদার মোঃ ইসমাইল হোসেন এর নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর সীমান্ত এলাকায় বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ ১০ যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ঐ ১০ যুবক সীমান্তের শুণ্য লাইন এলাকায় গমন করে ফেরত আসার সময় বিজিবি’র টহল দল তাদের বডি তল্লাশী করে প্রত্যেকের নিকট ০১ বোতল করে ফেনসিডিল পাওয়ায় তাদের আটক করে। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সীমান্তের শূণ্য লাইন এলাকায় গমন করে সকলেই ০১ বোতল করে ফেনসিডিল সেবন করে এবং ০১ বোতল করে সংগে বহন করে নিয়ে আসে বলে স্বীকার করে। ধৃত আসামীরা হলেন-(১) মোঃ সানি (২৫), পিতা- মৃত শফিকুল ইসলাম (২) মোঃ জহুরুল ইসলাম (২৮), পিতা-মৃত সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, (৩) মোঃ রাকিব হাসান (২৪), পিতা-মোঃ আব্দুল ওহাব, (৪) মোঃ মুন্না খন্দকার (২৪), পিতা- হান্নান খন্দকার (৫) মোঃ আসিফ রেজা(২৪), পিতা- মোঃ রেজাউল করিম (৬) মোঃ নির্জন আহম্মেদ(২৫), পিতা-মোস্তাক আহম্মেদ (৭) মোঃ সাইদুল ইসলাম(২৮), পিতা-মোঃ শরীফ আহম্মেদ (৮) মোঃ অর্নব আহম্মেদ(২৬), পিতা- জয়নুল আবেদীন (৯) মোঃ ফজলে রাব্বি(২৫), পিতা-মোঃ আহম্মেদ আলী এবং (১০) মোঃ সাগর ইসলাম(১৮), পিতা-মোঃ বাবুল আক্তার।
তারা সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ধৃত আসামীদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মঈন উদ্দিন ইকবাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি), আখাউড়া এর ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ মোতাবেক প্রত্যেককে ০৪ (চার) দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে।
অপরদিকে গংগাসাগর সীমান্ত ফাঁড়ীর জুনিয়র কর্মকর্তা মোঃ মিকাইল হোসেন এর নেতৃত্বে সকাল ৯টায় একই উপজেলার মোগড়া রেল ক্রসিং এলাকায় নিয়মিত অভিযানে বিশেষ অভিনব কায়দায় বডি ফিটিং অবস্থায় ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ এক মহিলাকে আটক করে বিজিবি। আটক ঐ মহিলার নাম ও ঠিকানা- মোছাঃ রিনা বেগম(৩৩), স্বামী- মোঃ দুলাল মিয়া, গ্রাম- বাগান বাড়ী, ডাকঘর ও থানা- আখাউড়া, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আটক মহিলাকে একই আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর ১০(২) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করলে আসামী অর্থ দন্ডের টাকা পরিশোধ করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং মাদকসমূহ ধ্বংস করা হয়।