দেশের সকলকিছু সংস্কারের দায়িত্ব অন্তর্বতী সরকারকে দেয়া হয়নি-সেলিম ভূইয়া
দেশের সকলকিছু সংস্কারের দায়িত্ব অন্তর্বতী সরকারকে দেয়া হয়নি। যেই সংস্কার প্রয়োজন তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করবে। তাই সরকারের উচিত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া এই মন্তব্য করেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আখাউড়ায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনে সেলিম ভুইয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপি অন্তবর্তী সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে। কারণ বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা। বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করছে। দেশের মানুষ এখন নির্বাচন চায়। তাই সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আর বিলম্ব করা যাবেনা। নির্বাচন বিলম্ব করে শেখ হাসিনার মত ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করতে বিএনপি দিবে না। দেশে যেই সংস্কার প্রয়োজন তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করবে। সবকিছু সংস্কারের দায়িত্ব অন্তর্বতী সরকারকে দেয়া হয়নি। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবে বিএনপি ছাত্র-জনতার আবরণে ছিলো। বিএনপি ছাত্রদের সবকিছু দিয়ে সহায়তা করেছে। ছাত্ররা একপর্যায়ে মাঠে যখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না, তখন বিএনপি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে বিএনপি। সেদিন শেখ হাসিনা যদি না পালাতো তাহলে তাকে রাজপথে পাথর নিক্ষেপ করে মারা হতো। সেই সরকারের দোসররা এখন পতনের পর বিএনপির নানান পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিএনপিকেও বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। বিএনপি জনগণের দল, এই দলে হাইব্রিডদের জায়গা নেই।
আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে যোগদান করে।