আগরতলা-আখাউড়া রেললাইন, জমি অধিগ্রহণ শিগগিরই
ডেস্ক ২৪:: আগরতলা-আখাউড়া প্রস্তাবিত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন পাতার জন্য খুব শিগগিরই জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু করা হবে। ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (ডোনার বা ডেভলপমেন্ট অব নর্থ ইস্ট রিজিয়ন) থেকে অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে।
রবিবার পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক মিলিন্দ রামটেকে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভারতের অংশে এই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য ৯৭ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরো টাকাই রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার রেললাইন পাতার জন্য খুব শিগগিরই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করা হবে।
যেহেতু আগে থেকেই জমির মালিকদের এই সম্পর্কিত নোটিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তাই পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে তিন মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত ১৫.০৫৪ কিলোমিটার এই রেললাইন প্রকল্প ভারতই তৈরি করবে। ভারতীয় অংশে পাঁচ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে দশ কিলোমিটার রেলপথ হবে। কৃষি জমি রক্ষা করতে ভারতীয় অংশে এই পাঁচ কিলোমিটার মধ্যে ৩.৭ কিলোমিটার দৈঘ্য একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে এই রেল লাইন পাতার কাজ শেষ হবে।
২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরেই দুই দেশের মধ্যে নতুন এই রেল প্রকল্পটি তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়। ভারতের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগেই হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইন সংযোগের মধ্য দিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশ এবং বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে ভারতের রেল মানচিত্রে যোগ হয় ত্রিপুরা। সড়কপথে কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে আগরতলার রেলসংযোগ হয়ে গেলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আগরতলার দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৫০০ কিলোমিটারের মতো।
« কসবা পৌর পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহন। পৌরবাসীর ফুলে ফুলে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) বিটঘরে মাদক বিরোধী র্যালী »