Main Menu

জাতীয় শোক দিবস,আখাউড়া আ. লীগের পৃথক কর্মসূচি, উত্তেজনা

+100%-


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কর্মসূচী ঘোষণা দিয়ে মাইকিং বের করলে তা থামিয়ে দেন নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ কর্মসূচী সফলে ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা গত ১৫ দিন ধরে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র‌্যালি, মিলাদ ও কাঙ্গালি ভোজের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে আহবায়ক করে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে এক মাইকিংয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্টেশন মসজিদে দোয়া ও দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের কর্মসূচী নেওয়া হয়। দুপুরে সড়ক বাজার এলাকায় মাইক আটকে দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল বলেন, ‘আমাদের কমিটি এখনও বহাল আছে। এছাড়া একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে আমি নিজ উদ্যোগেই তো জাতীয় শোক দিবস পালন করতে পারি। কিন্তু কি কারণে মেয়র মাইক আটকে দিলেন তা বুঝতে পারছি না’।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কমিটি বলতে এখন শুধু সভাপতি ও সম্পাদক। গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ইতিমধ্যেই উপজেলা সভাপতিকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে জেলা কমিটি।  এ অবস্থায় ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাপক আকারে জাতীয় শোক দিবস পালন করার। আর এখন শুধু মসজিদে মিলাদ পড়ানোর নাম করে একটি মাইক বের করে দিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। নেতা-কর্মীরা তা বুঝতে পেরে মাইক আটকে দেয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দেওয়া ব্যক্তিগত টাকায় আমাদের কর্মসূচী পালিত হবে’।    






Shares