Main Menu

টানা ধর্মঘটের ৪র্থ দিনে অচল হয়ে পড়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর

+100%-


মনিরুজ্জামান পলাশ : ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের টানা ৪ দিনের ধর্মঘটের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও আগরতলা স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অচল হয়েছে পড়েছে। ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দর এলাকায় গাড়ি পার্কিং করলে ৫ হাজার রুপি জরিমানা করা হবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত রবিবার থেকে ভারতের আগরতলার ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের পালন করছে। যদিও এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন মাছ, পাথর, সিমেন্ট, ইট, বালি, শুটকী, প্লাষ্টিক সামগ্রী, তুলাসহ প্রায় ৩২ টি বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। টানা ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে এই বন্দর।

ভারতে পূর্ব ৭টি রাজ্যে প্রবেশে অন্যতম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়ে থাকে। গত রবিবার থেকে আগরতলা বন্দর কর্তৃপক্ষ স্থলবন্দর এলাকায় গাড়ি পার্কিং করলে ৫ হাজার রুপি জরিমানা করা হবে এ আদেশ জারি করে। এ আদেশের প্রতিবাদে রবিবার দুপুর থেকে  থেকে  ভারতীয় ব্যবসায়িরা আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগরতলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে ওই দেশের ব্যবসায়ীরা গত রবিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৭টায় বৈঠক ও করেন। বৈঠকে ফলুপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকে লাগাতার ধর্মঘট পালন করছে। টানা ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে রপ্তানীমুখি এই স্থল বন্দর। তবে বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের সংর্ঘষের কারণে আটকে পড়া পণ্যগুলো গত সোমবার সকালে রফতানি হয়েছে। নতুন করে কোন পণ্য নিচ্ছে না আগরতলা ব্যবসায়িরা।

আগরতলা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিষ বিশ্বাস হাবুল জানান, আগরতলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়টি যতদিন পর্যন্ত সুরাহা না হয় ততদিন পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’

আখাউড়া স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল জানান, এতে করে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় আমদানি ও রপ্তানিমুখী এ বন্দরের ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে তাদের দেশের কর্তৃপক্ষ সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

আগরতলা স্থল বন্দরের সুপারেন্টেন্ড জয়দেব দত্ত জানান, বন্দরে লোডিং গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত জায়গার জন্য ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালন করেছে। তবে অচিরেই এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজিব ভুইয়া বলেন, ‘ভারতের আগারতলা বন্দরের ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে এই বন্দরটি। তবে অচিরেই আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এর একটি সমাধানের জন্য আমাদের দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’

বন্দরের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর আবুল কালাম জানান, টানা ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে আখাড়উা স্থলবন্দর। বর্তমানে এই বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি শূন্যকোঠায় নেমে পড়েছে। কাজ ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে এই বন্দরের শ্রমিকরা।

তবে দুই দেশের ব্যবসায়িরা মনে করছেন দেশের দ্বিতীয় আমদানী ও রপ্তানিমুখি এ বন্দরের ভারতীয়  ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার ।






Shares