আখাউড়ায় দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনা
আখাউড়ায় দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় দু’গ্রুপে লাঠিসোট নিয়ে শহরে মিছিল করায় চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ হয়ে পড়ে। শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে উত্তেজনা শুরু হয়।
জানা গেছে, কওমী ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও তাবলীক জামাত-ওলামা মাশায়েখের যৌথ উদ্যোগে আখাউড়া পৌর শহরের রেলস্টেশন চত্বরে সকালে শানে মোস্তাফা (সা:) এর দোয়া মাহফিল করার প্রস্তুতি নেয়। এদিকে একই স্থানে বিকালে ছুন্নী আন্দোলন রাহে নাজাত ও সালাহ সালামের মাহফিলের ডাক দেন। এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকলে ১১টায় কওমী ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও তাবলীক জামাত-ওলামা মাশায়েক রেলস্টেশনে জমায়েত হয়ে মাহফিলের প্রস্তুতি শুরু করে। খবর পেয়ে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রার স্বার্থে উভয় দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয়দলের নেতারা মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে বাদ জোহর থেকে কওমী ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও তাবলীক জামাত-ওলামা মাশায়েক কাছে খবর আসে ছুন্নী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিজয়নগর শাখার শতাধিক নেতাকমী লাঠিসোটা নিয়ে আখাউড়া শহরের দিকে আসছেন। এ খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে ওলামা মাশায়েকের শতাধিক নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিােভ মিছিল করে শহরে প্রবেশ মুখে অবস্থান নেয়। এ সময় শহরের আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খুরশিদ শাহরিয়র, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাম্মাদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ওলামা মাশায়েখ বক্তারা দৌলতবাড়ির নাঈম উদ্দিন ও আখাউড়ার কেয়াফায়েতুল্লাহ গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খুরশিদ শাহরিয়র বলেন ছুন্নী আন্দোলন বাংলাদেশ বিজয়নগর শাখার নেতাকর্মীরা আখাউড়া শহরের আসার খবর তাবলীক জামাত-ওলামা মাশায়েক কাছে আসে। এ গুজুবে দুপুরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাম্মাদ হোসেন বলেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।