আখাউড়ায় সরকারি খাল বাধ দিয়ে জমির ফসল ক্ষতিসাধনের অভিযোগ করেও প্রতিকার নেই
প্রতিনিধি ,আখাউড়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিঅন্দ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে কসবা-আখাউড়া পাকা রাস্তার ইমামমুড়ি নামক স্থানে সরকারি খাল বাধ দিয়ে মনিঅন্দ গ্রামের কয়েক জন প্রভাবশালী ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে ব্যক্তিমালিকানা জমি ভাঙ্গা সহ ব্যাপক ধানের ফসল ক্ষতিসাধনের অভিযোগ ওঠেছে।এই ঘটনা নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন সৃষ্টি হতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান।
ঘটনা প্রকাশ থাকে যে,গত ৪ মার্চ আখাউড়া উপজেলার মনিঅন্দ গ্রামের পিতা-মৃত আবদুল লতিফের পুত্র মোঃ মুছা মিয়া আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আখাউড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্রে উলে¬খ্য করেন আখাউড়া-কসবা পাকা রাস্তার ইমামমুড়ি নামকস্থানে উওর দিকে চকে মধন মিয়ার পিতা-মৃতঃ বাদশা মিয়া,দেলু মিয়া,পিতা-মধন মিয়া,খলিল মিয়া,পিতা-মৃতঃ রজউদ্দি গংরা পরিকল্পিতভাবে সরকারি রাস্তার ব্রীজের খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করা অব্যাহত রেখে চলেছেন।এর ফলে ব্যক্তি মালিকানা জমি ভেঙ্গে গিয়ে ফসলী জমি এবং জমির আইল ব্যাপক ভাবে ক্ষতিসাধন হয়েছে। এই জমির চকে প্রায় ৭০/৮০ বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বাধের কারণে পানি সরতে না পারায় শত শত মন ধানের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। মধন মিয়া গংদের বাধা দিলেও তারা বাধা অমান্য করে পরিকল্পিত ভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারী মুছা মিয়া জানান লিখিত অভিযোগ করেও এই পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি।আর স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তিবর্গরা নিরব ভূমিকা পালনের ফলে তারা সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা জমির ফসল ক্ষতিসাধন করে জোরপূর্বক ভাবে ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে খালে ব্যাপক ভাবে বাধ বেধে মাছের চাষ করার নামে টাকা রোজগারের পায়তা করার বিষয়টি জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উপজেলা প্রশাসন তরিৎ গতিতে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন সৃষ্টি হতে পারে এবং স্থানীয় প্রশাসন এর দায় বার বহন করতে হবে বলে এলাকার শিক্ষিত সমাজ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অপরদিকে উপরোক্ত বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার সুদৃষ্টি দেওয়ার দাবী করেছেন মনিঅন্দ গ্রামের যুবসমাজ।