Main Menu

আখাউড়া থানায় আকস্মিক পরিদর্শনে এসে অনিয়ম পেলেন পুলিশ সুপার

+100%-

প্রতিনিধি : গত সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় থানায় আকস্মিক পরিদর্শনে আসেন পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় তিনি থানার বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ক্ষোব প্রকাশ করেন। পাশাপাশি থানা হাজতে আটককৃতদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগে মো. মনির নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ডের আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে আখাউড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কাউকে কিছু না জানিয়ে সোমবার রাত নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান আখাউড়া থানায় প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি থানা হাজতে আটক ছয় যুবকের সঙ্গে কথা বলেন। ওই ছয় যুবক অভিযোগ করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় টাকা চাওয়া মো. মনির নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে তাৎক্ষনিক সাসপেন্ডের আদেশ দেন এস.পি। এ সময় এস.আই কাঞ্চন কান্তি দাসকে নির্ধারিত পোশাকে না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি।
থানা হাজতে থাকা ওই যুবকরা গতকাল সাংবাদিকদেরকে জানান, রাত নয়টার দিকে এক ব্যক্তি থানায় ঢুকে তাদেরকে আটকের কারন জানতে চান। ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার কথা শুনে ওই ব্যক্তি ক্ষেপে যান। তখন তারা জানতে পারেন ওই ব্যক্তিটি পুলিশ সুপার। এ সময় পুলিশ সুপারকে বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশকে শাসাতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই আখাউড়া থানায় চলছে আটক বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর থেকে বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই লোকজন ধরে আনা হয়। কিন্তু সকাল হলেই দেখা যায় হাজত খালি। অনেকের অভিযোগ, ধরে আনা লোকজনের মধ্যে যারা রফাদফা করতে পারে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। মাদক সেবন ও মোটর সাইকেলের কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়।  
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পরিদর্শনে গিয়ে কিছু অনিয়ম পেয়েছি। হাজতে আটক থাকারাও অভিযোগ করেছে। সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে শোকজ করা হয়েছে।






Shares