লংমার্চ ঘিরে আখাউড়া স্থলবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
লংমার্চ ও সমাবেশ ঘিরে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শতাধিক পুলিশ সদস্য আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, ভারতীয় আগ্রাসন ও ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। তাদের উদ্যোগে লংমার্চটি ঢাকা থেকে নেতাকর্মীদের বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তে এসে উপস্থিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থলবন্দর এলাকার সমাবেশস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। আর এই সীমান্তের ৩৫০ গজ দূরে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলার পরিস্থির অবনতি না হয় তা কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
সরেজমিনের দেখা যায়, বন্দরের শূন্য রেখা বিজিবির আইসিপি থেকে সমাবেশের ৫০ গজ দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নেতাকর্মী এই ব্যারিকেডের ভেতরে অবস্থান করলে পুলিশি-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সিইউ লেফট্যানেন্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, সীমান্তে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে। সব স্থানে প্রস্তুতি রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি বলেন, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চের আয়োজন করেছে। লংমার্চকে কেন্দ্র করে কোনরকম বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি হতে না পারে তার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর রয়েছে।
এদিকে লং মার্চকে ঘিরে স্থলবন্দরের রপ্তানি ও যাত্রী পারাপারে স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানি-রপ্তানিতে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়েনি।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাফিকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, সকালে ২৩টি ট্রাকে করে হিমায়িত মাছ, শুটকিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। তাছাড়া যাত্রীরা অনায়াসেই পারাপার করতে পারছে।