ভারতীয়রা পণ্য না নেয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারতীয়রা আনা-নেওয়া করতে চাইছেন না বলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আটকা পড়েছে ৬০টির মতো ট্রাক। ফলে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা।
এর আগে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে অভিযোগ তুলে গত এক সপ্তাহ ধরেই মাছ নিচ্ছে না ভারতীয়রা। এ নিয়ে করণীয় বিষয়ে আখাউড়ায় হওয়া এক বৈঠকে পাচাররোধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আলোচনার পর রপ্তানিতে আশার আলো দেখা দিলেও এখন নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়িরা জানান, মূলত বিধান সভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণেই ভারতীয় ব্যবসায়িরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তবে কবে নাগাদ ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করা হতে পারে সে বিষয়েও তারা সুস্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।
গত ৩ মার্চ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধান সভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সিপিআইএম দুর্গের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ফলাফল ঘোষণার পর থেকে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজ্যের কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। প্রভাব পড়ে আখাউড়ার ওপারে আগরতলা স্থলবন্দরেও। সেখানকার অনেক ব্যবসায়ি এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনি ও রবিবার অন্য পণ্যও নিবেনা বলে আগে থেকেই বাংলাদেশের ব্যবসায়িদেরকে জানিয়েছেন দেন তাঁরা। তবে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোম ও মঙ্গলবার ভারতীয়রা পণ্য না নেয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা বিপাকে পড়েছেন। আটকা পড়েছে ৬০ ট্রাক ভর্তি বিভিন্ন পণ্য।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ি মো. আব্বাস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভারতীয়রা ঠিক কবে থেকে পণ্য নিবে সে বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই ভারতীয়রা পণ্য নিচ্ছে না।’
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে ভারতীয়রা পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছুই জানায় নি।