জীবিতকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন: দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু



জীবিতকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগে তৎকালীন আখাউড়া থানার এসআই আবুল কালামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।রোববার পুলিশ সদর দফতরের এক নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, হেড কোয়ার্টার) আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, হেডকোয়ার্টার) আবু সাঈদ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রোববার সকালে হাতে পান বলে জানিয়েছেন।
আবু সাঈদ বলেন, তৎকালীন সময়ে আখাউড়া থানায় কর্মরত এসআই আবুল কালামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জীবিত মো. আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে মৃত উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। ভুক্তভোগী মো. আজাদ হোসেন ভূঁইয়ার অভিযোগ, ‘খরচাপাতি’ ঘুষ না দেয়ায় এমনটি করেছেন আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (বর্তমানে দাউদকান্দি থানায় কর্মরত) আবুল কালাম।
অবশ্য এসআই আবুল কালাম তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রমাণ করতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
তিনি মোবাইল ফোনে গন মাধ্যমকে বলেন, ‘ওসি স্যার (আখাউড়া থানার ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আমি সেভাবে কাজ করেছি। সুতরাং দোষ করে থাকলে ওসি স্যার করছে। আমি কেন দোষী হতে যাবো।’