জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তোলা হবে : আইজিপি
ডেস্ক ২৪:: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, প্রত্যেক পরিবারে ও এলাকায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নতুন থানা ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়েছি। জনগণের সমর্থন আছে বলে আমরা জঙ্গি নির্মূলে সক্ষম হচ্ছি। অল্প সময়ে যেসব জঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তাদের আমরা কঠোর হাতে দমন করেছি।’
তিনি বলেন, কেউ মাদকাসক্ত হলে তার জীবন ও চিন্তাশক্তি লোপ পায়। মাদক কেনার জন্য এমন কোনো কাজ নেই সে করতে পারে না। এমনকি পিতা-মাতাকে হত্যা করতে পারে। এ কারণে সকল অভিভাবককে নিজেদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। মাদকসেবী ও মাদককারীকে কেউ প্রশ্রয় দেবেন না। সকলে মিলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আইজিপি বলেন, কোনো পুলিশ যদি মাদক ও চোরাকারবারিদের সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ঈদের জামাতে বোমা মারে, ইমাম-পুরোহিতকে হত্যা করে। তাদের কোনো ধর্ম নেই। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আলেম-ওলামারা সোচ্চার না হলে এদেশ জঙ্গিবাদ হয়ে যাবে। আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকের মতো যেখানে মানুষ থাকতে পারে না। এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে হত্যা করে। এটা আমাদের মুসলমানরা কখনো মানবে না। তিনি বলেন, পূর্বে ধারণা ছিল যারা মাদরাসায় লেখাপড়া করে তারা জঙ্গিবাদ করে। কিন্তু পুলিশের কাছে যারা গ্রেফতার ও নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ৭৫ ভাগ জামায়াত-শিবিরের কর্মী। ১৬ ভাগ মাদরাসার ছাত্রও। তারা জামায়াত-শিবিরের সমর্থক। এজন্য তিনি মাদরাসার শিক্ষকদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান করেন। তিনি দাবি করে বলেন, বর্তমানে জঙ্গিদের শক্তি অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন। তারা আর বড় ধরনের কোনো নাশকতা করতে পারবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫৬ শতক জায়গার ওপর ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলাবিশিষ্ট আখাউড়া থানা ভবন নির্মাণ করা হয়ছে। ২০১৪ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ বিল্ডার্স থানার ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।