এবার নতুন জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে মাছ রপ্তানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোড সংক্রান্ত সমস্যার কারনে মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। কোড সংক্রান্ত এই সমাধান করতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিভিন্ন বাজার থেকে ৪০টি মাছ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা মাছ পরীক্ষা করে ১১টিতে ফরমালিন পাওয়া যায় ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আগরতলার কাস্টমস কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে গত ৬ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
আখাউড়া স্থলব্ন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা প্রতিদিনের মাছ থেকে নমুনা রেখে হিমায়িত (ফ্রিজআপ) করে ফরমালিন পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হবে এবং তাতে ফরমালিন পেলে ফের আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে এমন শর্তে রপ্তানি শুরুর সম্ভাবনা দেখা দেয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ি আব্বাস উদ্দিন ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানান, মাছ রপ্তানিতে ভারতের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তিপত্রে মাছের যে কোড নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। চুক্তিপত্রে কোড নম্বর ঠিক করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। বিষয়টি নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দেরর ব্যবসায়িরা গতকাল আগরতলার ব্যবসায়িদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ’সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একটি কোড ব্যবহার করতে হয়। দু’দেশের ব্যবসায়িরা রপ্তানি সংক্রান্ত যে চুক্তি করেছে তাতে ’সি ফিস’ (সামুদ্রিক মাছ) এর কোড লেখা আছে বলে জেনেছি। কিন্তু এ কোডের মাধ্যমে সব ধরণের মাছ রপ্তানি সম্ভব নয়। অবশ্য শুল্ক আইন অনুসারে পণ্যের বিবরণ সঠিক থাকলে কোড ভুল না হলে সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে শুল্কের কোনো তারতম্য হয় কি-না তা খেয়াল রাখতে হবে। এ অবস্থায় ভারতীয় ব্যবসিয়রা চাইলে আমাদের দেয়া কোড অনুযায়িই মাছ নিতে পারে। যদিও আমাদের এখান থেকে সঠিক কোডেই মাছ পাঠাতে হবে। দু’দেশের ব্যবসায়িরা এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জেনেছি।’