আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন নির্মাণের চুক্তি
ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল রেললাইন প্রকল্প নির্মাণের জন্য সিটিএম জয়েন্ট ভেঞ্চারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে রেল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক সাগর কৃষ্ণ চক্রবর্তী এবং সিটিএম জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মো. আলমগীর চুক্তিপত্রে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।’
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০২০ সালে ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইনের ৭২ কিলোমিটারে ১৩টি বড় সেতুসহ মোট ৪৬টি ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ হবে। এছাড়া এই রুটে কম্পিউটারাইজ সিগন্যাল ব্যবস্থাসহ আখাউড়া ও লাকসাম রেলস্টেশনসহ ১১টি বি-ক্লাস রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে। নির্মাণসহ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪শ’ ৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল রেললাইন প্রকল্প নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য ৫টি যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
যেসব পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে তদারকির কাজ পেয়েছে সেগুলো হলো- কোরিয়ার দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, কোরিয়া রেল নেটওয়ার্ক অথরিটি, জাপানের অরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড, ভারতের বেলাজি রেল রোড সিস্টেমস লিমিটেড ও বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্ট লিমিটেড।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে টঙ্গী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ সম্পন্ন হবে। যার ফলে ট্রেন দ্রুত চলতে পারবে। ইতোমধ্যে টঙ্গী ভৈরব থেকে ভৈরব বাজার ও আখাউড়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে।