আখাউড়াবাসী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের স্মৃতি পরম মমতায় লালন করছে -৪৮তম শাহাদতবার্ষিকীতে স্বজনরা
শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৪৮তম শাহাদতবাষির্কী উদযাপন করতে আখাউড়ায় এসে মোস্তফা কামালের ভাতিজা ভোলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেলিম মিয়া এ বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের স্মৃতি পরম মমতায় লালন করছে আখাউড়াবাসী। এজন্য আমরা আপনাদের কাছে ঋণী।
আজ বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাস্থ ভোলা জেলার সংগঠন ব-দ্বীপ ফোরাম নামের ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করে। এছাড়াও দিবসের শুরুতে সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন উপজেলা মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামালের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তক অপর্ণ করে। পরে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু সাঈদ ভূঁইয়া ও মুক্তিযোদ্ধা শাখাওয়াৎ হোসেন পাখি জানান, ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দরুইন গ্রামে সম্মুখ যুদ্ধে শাহাদতবরণ করেন মোস্তফা কামাল। সেই দিন দরুইন গ্রামের অদূরে পাকসেনাদের গতিরোধ করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু একপর্যায়ে শত্রুবাহিনী খুব কাছাকাছি চলে আসে। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে সবাই যখন পিছু হটছিলেন, তখন দরুইন গ্রামের বাঙ্কারে এলএমজি হাতে পজিশন নেন মোস্তাফা কামাল। নিজের জীবন উৎসর্গ করে শতাধিক সহযোদ্ধার জীবন রক্ষা করেন তিনি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে ১৯৪৭ সালের ১৬ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন হাবিবুর রহমানের মেঝ ছেলে মো. মোস্তফা। সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য দেশের স্বাধীনতার জন্য বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেয়ায় মো. মোস্তফা হয়ে উঠেন কামাল আতাতুর্কের নামানুসারে মোস্তফা কামাল।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হারুন অর রশিদ, মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছালেহা খাতুন দাখিল মাদরাসার অধ্যহ্ম জনাব আলাউদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জনদরদী আবুল কাশেম,সাংবাদিকবৃন্দ সহ আরো অনেকে।
« ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর উপজেলার বিজয়ী প্রার্থীদের নাম নেই (পূর্বের সংবাদ)