বিজয়নগরে বুধন্তি ইউনিয়ন পরিষদে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে অনিয়ম, মেম্বারদের পরিষদ ত্যাগ
মো: জিয়াদুল হক বাবু : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদে এলজি এসপির বরাদ্ধকৃত সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদে এলজি এসপির বরাদ্বকৃত ৪৫০০০ টাকার সুরক্ষা সামগ্রীর মালামাল ১৫০ জনের মাঝে বিতরণের কথা থাকলে ও হাতে গুনা কিছু মানুষ এ সামগ্রী পেয়েছে। বাকীরা সামগ্রী না নিয়ে চলে গেছে।
সরেজমিনে খবর নিয়ে জানা যায় ,ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এল,জি,এইচপি প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের ১৫০ জন লোকের মাঝে ৩শত টাকার সুরক্ষা সামগ্রী ব্লিসিং পাউডার ,লাইফবয় সাবান ও মাস্ক সহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করার কথা ছিল । এ উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন গ্রামের সুবিধাভোগী লোকজন এসব সামগ্রী নিতে ইউনিয়ন পরিষদে আসে ।এসময় কয়েকজন লোকের হাতে অল্প কিছু জীবানুনাশক ব্লিসিং পাওডার, একটি মাঝারী লাইফবয় সাবান ও কয়েকটি মাস্ক বিতরণ করা হয় ।যাতে ৫০/৭০ টাকার মালামাল ছিল । যা দেখে ভুক্তভোগীরা চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে । এ সময় কয়েকেজন মেম্বার তাদের ওয়ার্ড থেকে আসা লোকদের নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায় ।
ভোক্তভোগী আলী আকবর জানায়, ৩শ টাকার জিনিস দেওয়ার কথা থাকলেও কয়েক ঘন্টা আমাদের দাড় করিয়ে রেখে ৬০/৭০ টাকার জিনিস দেয় । আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারার জন্য তেরে আসে, আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে চেয়ারম্যান রাগান্নিত হন এবং বাজে কথা বলেন ।
এ ব্যাপারে ৪/৫/৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নিলুফা ইয়াসমিন বলেন , এলজিএইচপি প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া হয় এবং আগামী কাল দেওয়া হবে । কয়েকজন আজ নিয়েছে তবে পরিমানে কম ছিল । এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও ডিলার ভাল বলতে পারবে ।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো জামাল মিয়া বলেন, এ ধরনের চোরের কার্যকলাপ দেখে আমি পরিষদ থেকে রাগ করে চলে এসেছি এবং আমার ওয়ার্ডের লোকরা মাল না নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে। একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গাউস মিয়া তিনি বলেন এই ধরণের অনিয়ম দেখে আমি পরিষদ থেকে চলে আসি এটা জনগনের সাথে এক ধরনের মস্করা করা হল। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জজ মিয়া বলেন এ ধরনের কার্যকলাপ করাটা সঠিক হয়নি সারা দিন মানুষকে রেখে ৩শ টাকার মালামার না দিয়ে ৬০/৭০ টাকার মাল দিয়েছে।
ডিলার কুদ্দুস মিয়া বলেন ,এটা ইউনিয়ন পরিসদের বিষয় এবং আমি কম দেওয়ার কেউনা এবং আগামীকাল আবার বন্টন করা হবে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জানান, হোসাইন জানান ,আমি অসুস্থ তাই বাড়িতে আছি বরাদ্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে জানান, জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ১৫০ জনকে দেয়া হবে।
অনিয়মের ব্যাপারে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া মোবাইলে জানান ,আগামীকাল আবার বিতরণ করা হবে ।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে বলেন আমি একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি এবং সরকারী টাকা দিয়ে কম মালামালা দেওয়া হলে আমি তদন্ত কওে ব্যবস্থা নিব । ।