বিজয়নগরে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
মো: জিয়াদুল হক বাবু, বিজয়নগর সংবাদদাতা :: বিজয়নগরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল সংকটের কারনে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ লোক । ৩জন ডাক্তার ও ৪ জন কর্মচারী দিয়ে যন্ত্রপাতি বিহীন হাসপাতালে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা আর এই সুযোগে হাতুড়ে ডাক্তাররা করছে রমরমা বানিজ্য। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকার রোগীদের আখাউড়া ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মাধবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয় ।
সরজমিনে দেখা গেছে ,স্বাধিনতার দীর্ঘ সময় পর নানা আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হিসাবে তিতাস পূর্বাজ্ঞচলের ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে ৩রা আগষ্ট ২০১০ সালে বিজয়নগর উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয় ।পরে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিস ভবনের কাজ হয় এবং একে একে উপজেলার মানুষ প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা পেতে থাকে । ২০১৮ সালের নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম এর উদ্ভোধন করেন । তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও এখানে কোন যন্ত্রপাতি ও লোকবল সরবারহ না করায় জরুরী বিভাগ সহ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়নি ফলে ৩ জন ডাক্তার ৪ জন কর্মচারীকে নিয়ে আউট ডোরে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং রোগীর ভীড়ে হিমশিম খাচ্ছেন ।
এব্যাপারে দুলাল মিয়া(৫৫) নামের এক বৃদ্ব বলেন ,নামেই এখানে হাসপাতাল ডাক্তাররা ইচ্ছা করলেও এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে পারেনা । এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার বলেন ,বর্তমান সরকার জনগনের সেবায় বদ্ধপরিকর, প্রশাসনের সবাই উপজেলা বাসীকে সেবা দিতে এসেছি ।অল্প কিছু দিনের মধ্যেই হাসপাতালের রোগীরা সকল সেবা পাবে ।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত টিএইচও আশরাফুল আলম স্বপন বলেন , হাসপাতালের আউটডোর চালু আছে, আমরা ৩ জন ডাক্তার পালাক্রমে ডিউটি করে স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট যন্ত্রপাতি ও লোকবল বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো: শাহআলম জানান ,এই সপ্তাহে হাসপাতালের টিএইচও এর পদটি সৃষ্টি হয়েছে এবং এর মধ্যে দিয়ে আমলাতান্ত্রিক জট খুলেছে । কিছুদিনের মধ্যেই যন্ত্রপাতি আসবে এবং লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে এবং সবধরনের চিকিৎসা সেবা শুরু হবে ।