এক ভোটের হিসেব চেয়ে বিজয়নগরের জহিরুল ইসলাম ভূইয়াকে সমন পাঠিয়েছেন আদালত



ভোট কারচুপির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৭নং ওয়ার্ডে (বিজয়নগর উপজেলা) বেসরকারিভাবে বিজয়ী সাধারণ সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূইয়াকে সমন পাঠিয়েছেন আদালত।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলমগীর কবিরের করা মামলার (মামলা নং-১) প্রেক্ষিতে যুগ্ম-জেলা জজ প্রথম আদালত গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ সমন পাঠায়। সমনে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রয়োজনীয় সাক্ষী ও দলিলসহ জহিরুল ইসলাম ভূইয়াকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
আলমগীর কবিরের করা মামলার আবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোট ৯৪টি ভাট পড়ে। এর মধ্যে আলমগীর কবির ‘টিউবওয়েল’ প্রতীকে পান ৪৬ ভোট এবং জহিরুল ইসলাম ভূইয়া ‘তালা’ প্রতীক নিয়ে পান ৪৬ ভোট পান। বাকি দুইটি ভোট বাতিল করা হয়।
বাতিল হওয়া দুইটি ভোটের একটি ব্যালট পেপারে ‘তালা’ ও ‘হাতি’ উভয় প্রতীকে সিল এবং অন্যটিতে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীকে সিল মারা ছিল।
মামলাতে আলমগীর কবির আরও অভিযোগ করেন, নিয়মানুযায়ী লটারির পরিবর্তে বাতিল হওয়া ওই দুই ভোটের একটি জহিরুল ইসলাম ভূইয়ার পক্ষে গণনা করে তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৪৭ দেখিয়ে তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করার আগে গত ২৮ ডিসেম্বর (ভোটগ্রহণের দিন) বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ২৯ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আলমগীর কবির।