Main Menu

বিজয়নগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত শতাধিক ॥ বাড়ি-ঘর ভাংচুর

+100%-

প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ১০/১২টি ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে দাঙ্গাবাজরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশাংকা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত কয়েক মাস আগে ইরি জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামের ইসহাক মাস্টারের গোষ্ঠীর লোকদের সাথে একই এলাকার রাজু মিয়া সর্দারের গোষ্ঠীর লোকদের সংঘর্ষ হয়। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে ইসহাক মাস্টারের গোষ্ঠীর লোকদের ৩০ হাজার টাকা ও রাজু সর্দারের গোষ্ঠীর লোকদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে দেন। রাজু সর্দারের গোষ্ঠীর লোকজন সালিশের রায় মেনে জরিমানার ১০ হাজার টাকা প্রদান করলেও ইসহাক মাস্টারের গোষ্ঠীর লোকজন তাদের টাকা দিতে গড়িমসি শুরু করে। এনিয়ে দুই গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দিলে গ্রামবাসী শনিবার সকাল ৮টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পুনরায় সালিশের দিন ধার্য্য করে।
পুনরায় সালিশের কথা অমান্য করে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ইসহাক মাস্টারের গোষ্ঠীর লোকজন প্রতিপক্ষ রাজু সর্দারের গোষ্ঠীর লোকদের বাড়িতে অতর্কিত আক্রমন করলে দু’গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গোষ্ঠীর মহিলাসহ প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ১০/১২টি ঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে দাঙ্গাবাজরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে সকাল ৮টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের মধ্যে জারু মিয়া-(৩৫), নাজমুল হক-(২৮), মিজান-(২৫), এরশাদ-(২৫), রুবেল-(২৬), জায়েদ-(৪৫), আরমান-(২৫), স্বপন-(২৩), তাউস মিয়া-(৩০), ছুট্টু মিয়া-(৩২), বিল্লাল মিয়া-(২৭), জানে আলম-(৩১), রাকিব-(২২), দুলাল-(২৬), তাজুল ইসলাম-(২৮), গোলাম রসুল-(৩৬), সেন্টু মিয়া-(২৪), পলি বেগম-(২৬), রোজিনা বেগম-(২২), আইনুল ইসলাম-(৩৫), ইয়াছিন-(৪২), মন্নাফ-(২০), দুলাল মিয়া-(২৫), নাজমুল-(২৩), ফরাস উদ্দিন-(৬০), শাহজাহান-(৩০), সেলিম-(৩৫), রুবেল-(২৫), সাগর-(১৮), সাবু মিয়া-(২৭), রফিক-(২৮), শামীম-(৩০), জামাল-(২৮), ইউনুছ-(১৮), গেদু-(৫৫), মুর্তুজ আলীসহ ৬০ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।






Shares