ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কৃষি ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কৃষি ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই কর্মকর্তা গ্রাহকের টাকা ব্যাংকের ক্যাশে জমা না দিয়ে পকেটে রাখার কারণে আদালতে মামলা আর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করলেও এই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মামলার বিবরণ আর বিভিন্ন দফতরে দেয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা যায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার নুরপূর বাজার শাখা কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ খন্দকার। তার বিরুদ্ধে ব্যাংকে ক্যাশে টাকা জমা না দিয়ে পকেটে রাখার অভিযোগ করছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাদের মধ্যে একজন বিজয়নগর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আবদুল বাছির তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স বায়েজিদ ফার্নিচারে নামে কৃষি ব্যাংক নুরপুর বাজার শাখা থেকে সিসি লোন উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে এই লোনের টাকা রিকভারি হিসাবে ২০১৬ সালে পহেলা ডিসেম্বর ৮ লাখ ৩১ হাজার ৭শ’ টাকার মধ্যে ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু উল্লেখিত টাকা শাখা ব্যবস্থাপক ব্যাংকের ক্যাশে জমা দেয়নি। পরবর্তীতে ব্যাংক থেকে লোনের টাকা পরিশোধ করার জন্য বারবার নোটিশ প্রদান করে থাকে। এই বিষয়ে ব্যাংকে যোগাযোগ করলে আবদুল বাছিরকে জানানো হয় আপনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শাখা ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ খন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে বিদায় করে দেন। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি কৃষি ব্যাংকের রিজিওনাল ম্যানেজারকে অবগত করা হলেও তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে আবদুল বাছির। মামলায় একমাত্র আসামি শাখা ব্যবস্থাপককে টাকা আত্মসাতের জন্য দায়ী করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে আবদুুল বাছির যুগান্তরকে জানান, টাকা পরিশোধ করার পরও শাখা ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ খন্দকার টাকা ব্যাংকে জমা দেয়নি। নুরপূর বাজার শাখা কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ খন্দকারের বিরুদ্ধে রয়েছে চেক জালিয়াতিসহ আরো অনেক ঘটনা। স্থানীয় রতন মিয়া, আক্তার মেম্বার, হাশেম চৌধুরী যুগান্তরের কাছে অভিযোগ করে জানান, তাদের সঙ্গে ও শাখা ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ খন্দকার এমন ঘটনা প্রতারণা করেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদ খন্দকার যুগান্তরকে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক না। এ সময় টাকা জমা দেয়নি বলে তিনি দাবি করেন।