Main Menu

বিজয়নগরে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু:: মৃত্যুর খবরে ফের সংঘর্ষে আহত ৩০

+100%-

bijoynogorডেস্ক ২৪::  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বচ্ছল মিয়া (২৮) নামে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল সকালে মাশাউড়া গ্রামের ফারুক মেম্বারের গোষ্ঠীর অহিদ মিয়ার বাড়িতে এসে একই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মুসলিম ও ভুট্টোর নেতৃত্বে ১০-১৫ জন পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা করে। এতে নারীসহ ২০-২৫ জন আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সচ্চল ওরফে সাগর (২৬) ও শারমিন আক্তারকে (১৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে সচ্চল মিয়া মারা যায়। নিহত সচ্চল মিয়া মাশাউড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে পুনরায় দু’দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা চারটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। আহত দুলাল মিয়া (৫৫), ছিদ্দিক মিয়া (৫০), ধন মিয়া (৪৮), পপি বেগম (২৪), মনির হোসেন (৪৮), মুন্না মিয়া (১৯), রাহিম মিয়া (২৫), আঃ আহাদ (৬০), শাহিন মিয়াকে (২২) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় দুলাল মিয়া ও ছিদ্দিক মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহত সচ্চল মিয়ার বড় ভাই ও জেলা কৃষক লীগ নেতা ফারুক মেম্বার বলেন, এলাকার চিহ্নিত চোর-ডাকাত ও দাঙ্গাবাজ মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মুসলিম গংদের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই গত ২৬ এপ্রিল আমার বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়। এতে আমার ছোট ভাই সচ্চলকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুনরায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।






Shares