বিজয়নগরে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা
বিজয়নগর সংবাদদাতা :: বিজয়নগরে এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।এর অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের জসিম মিয়া (৩৫), একই ইউনিয়নের ফারুক মিয়া (৩০) ও জিসান মিয়া (২২)। ওই ছাত্রী জেলার আখাউড়া উপজেলার একটি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের জসিম মিয়া নামের এক যুবকের স্ত্রী মিতু বেগমের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ছোট ভাই জয় মিয়া (১৯) মুঠোফোনে কথা বলতো। প্রায় ১৫ দিন আগে এর জেরে জসিম নিজের খামার ও বাড়িতে নিয়ে ওই পরীক্ষার্থীর ভাই জয়কে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় সর্দাররা ককবিষয়টি আপোস-মীমাংসা করে দেন। এ ঘটনার পর থেকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই অশ্লীল শব্দে মন্তব্য করতেন জসিম। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হলে ফারুক ও জিসান নামে দুজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন জসিম। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর পরনে থাকা বোরকা টেনে ছিড়ে এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করা হয়।এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে জসিমসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে ঘটনার পর অবহিত করেন এবং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থী। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ মামলাটি নথি ভুক্ত করেন।
এব্যাপারে কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, বৃহষ্পতিবার সকালে নির্বাচনী পরিক্ষা দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় জসিম আমার বস্ত্রহরণ করে নিয়ে আমাকে বস্ত্রহীন করে দেয় এবং থানায় অভিযোগ দিলে রাতে মামলাটি নথিবদ্ধ করে। সিংগারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, ঘটনার পর কলেজ ছাত্রী থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।