আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো এরিগেশন প্রকল্পে
পানি অবমুক্ত করণ নিয়ে অনিয়ম ঠেকাতে বিএডিসির লুকোচুরি



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো এরিগেশন প্রকল্পে পানি অবমুক্ত করণ নিয়ে বিএডিসি লুকোচুরি করার অভিযোগ উঠেছে। অনেকটা লুকোচুরি করে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিএসিডিসি’র ত্বত্তাবধানে চলতি বছরের সেচের পানি শনিবার সকালে অবমুক্ত করা হয়েছে। আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশনের ভিতরে ইনটেক প্রধান স্লুইচ খোলে পানি অবমুক্ত করেন আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলি মো. ওবায়েদ হোসেন এই পানি অবমুক্ত করেন।
এদিকে বর্তমান চলতি মৌসুমে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো এরিগেশন প্রকল্পের অধিনে সেচের পানি কৃষকের জমিতে ভাল ভাবে প্রবাহের জন্য খাল খনন ও ক্যানেল নিমার্ণে জন্য চলতি বছর কয়েক কোটি টাকার কাজ করেছে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো এরিগেশন প্রকল্পে । তবে কত টাকার কাজ হয়েছে তা বলতে নারাজ প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠরা। তাদের দাবি কাজ হলে বাস্তবে কিছুই হয়নি অভিযোগ করেছে কৃষকরা। আবার যা কিছু কাজ হয়েছে তা প্রকল্প কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারদের মাধ্যমে হয়েছে। তবে নাম মাত্র কাজ করার ফলে চলতি সেচ চলাচলে বিঘœ সুষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করছেন কৃষকরা। অনিয়ম ঠেকাতে অনেকটা লুকোচুরি করে এবার পানি অবমুক্ত করণ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো এরিগেশন প্রকল্পে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এ প্রকল্পের অধিনে ১লক্ষ ৮হাজার মেট্্িরক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রধান করা হবে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সেচের আওতা ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
পানি অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. কবির হোসেন, মো. হারুন অর রশিদ, মো. গোলাম মাওলা, বিএডিসি‘র সহকারি প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম ও রনি সাহা প্রমুখ।