গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারনে অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ আশুগঞ্জ সার কারখানা
গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারনে ব্রাক্ষনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা আজ রবিবার সকাল থেকে অনিদিষ্টাকালের জন্য সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ১৪শ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হবে। চলতি অর্থ বছরে আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত কারখানা থেকে ১লক্ষ ৯০ হাজার মেট্রিকটন সার উৎপাদন করা হয়েছে। তাই বিসিআইসি চলতি অর্থ বছরে ২লক্ষ মেট্রিকটন সার উৎপাদন লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করলেও গ্যাস সংকটের কারনে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে কতৃপর্ক্ষ। প্রতিদিন কারখানা চালু করতে ৪৮থেকে ৫২ এম এম সি এফ গ্যাস প্রয়োজন হয়। তবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে কারখানা চালু হতে আগামী ৬মাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কতৃপর্ক্ষ। এদিকে, দীর্ঘদিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলে বেশিভাগ যন্ত্রাংশই অকেজো হয়ে পড়ে। তাই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পর কারখানা চালু করতে গেলে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে যাওয়ায় যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দিয়ে উৎপাদন শুরু হতে দীর্ঘ সময় লাগে।
আশুগঞ্জ সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক(উৎপাদন) ওমর খৈয়াম জানান, গ্রীস্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সবগুলি কেন্দ্র ও ইউনিটগুলি সচল রেখে সেচ মৌসুমের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারনে আশুগঞ্জ সার কারখানাসহ দেশের ৫টি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি এ সিদ্ধান্তের ফলে আজ রবিবার সকাল থেকে সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। ফলে কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কারখানায় নিজস্ব সার মজুদ রয়েছে প্রায় ২২হাজার মেট্রিকটন ও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সার ৬২হাজার ১শ৪০ মেট্রিকটন। তবে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমানে সার মজুদ থাকায় সার সংকটের কোন আশংকা নেই।