আশুগঞ্জ নৌবন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
নৌযান শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে। আজ রোববার থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। ফলে, বন্দরে অর্ধশতাধিক মালবাহী কার্গো আটকা পড়েছে।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ নদী বন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদী পথে ঢাকা, চন্দ্রগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল শনিবার বন্দরে কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা পরিদর্শনে আসেন। এ সময় নোঙরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মালিকপক্ষের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে আলোচনা করার পর আজ (রোববার) থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছি আমরা। শ্রমিকদের মারধরের সুষ্ঠ বিচার না হলে আমরা কাজে যোগ দেব না। আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি নাজমুল হোসাইন হামদু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের নিয়ম না মেনে পণ্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। নদী বন্দরে জাহাজে তদারকির সময় শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডা হয়। তাদের কাউকে মারধর করা হয়নি।’