আশুগঞ্জে ডায়াবেটিকসে মৃত্যুকে হত্যার অভিযোগে মামলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পরির্দশন
প্রতিনিধি.আশুগঞ্জ::নাজমার মৃত্যু হয়েছে ডায়াবেটিসে। কিন্তু মামলা হলো তাকে হত্যার। অভিযোগ উঠেছে ভুয়া সনদ দিয়ে এই হত্যা মামলা করা হয়েছে। মোটা অংকের টাকা নিয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ এই মামলা রেকর্ড করেছে আরেকটি হত্যা মামলার বিপরীতে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আশুগঞ্জে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জেলা পুলিশের র্শীষ পর্যায়ের টনক নড়ে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএ মাসুদকে দায়িত্ব দেন। তিনি সরজমিনে বৃহস্পতিবার বিকালে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাঁজপুর গ্রামে যান। এ বিষয়ে তিনি স্থানীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
রতন হত্যা মামলার বাদী রতনের পিতা মালু মিয়া জানান আমরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বগইর গ্রামের বাদল ঠাকুরের স্ত্রী নাজমা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ ডাইবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে শারিরিক অবনতি হলে ১২ জুন ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশনের ব্যবস্থা নিলে তিনি হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পালিয়ে যান। সদর হাসপাতালে নাজমা বেগম ভর্তি হলে রেজিষ্টারে পুলিশ কেইস হিসাবে উল্লেখ ছিলনা। পরবর্তীতে ২২ জুন নাজমা বেগম দু‘টি পায়ে পচন ধরে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরদিন ২৩ জুন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র অবগত করেছি।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এ মাসুদ জানান নাজমার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যাচাই করার জন্য মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য চাঞ্চকর রতন হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে আসামীরা ডাইবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একটি ভুয়া সনদ ব্যবহার করে গত সোমবার রাতে ৪ ঠা আগষ্ট নাজমাকে হত্যার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করে। ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে মামলাটি করার অভিযোগ উঠেছে।