আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বই লেখায় আদালতে মামলা
প্রতিনিধি॥ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করে বই লেখার অভিযোগে অধ্যক্ষ শাহজাহান সাজুর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্যট (আশুগঞ্জ) এর আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই মামলটি দায়ের করা হলে বুধবার দুপুরে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ম্যাজিস্ট্যট নাজমুন নাহার। আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষে এই মামলাটি দায়ের করেন আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সদস্য সাংবাদিক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করে অধ্যক্ষ শাহজাহান সাজু ‘শেকড়ের সন্ধানে’ নামে একটি বই লেখেন। গত ২০ জুলাই এই বইয়ের প্রকাশনা উৎসব পালন করা হয়। এসময় মামলার বাদি ও স্বাক্ষীরা সহ স্থানীয় সকল গনমাধ্যম কর্মীরা বইটি পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। আশুগঞ্জের সকল স্তরের লোকজনের মাঝে বইটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়। বইটিতে সাজু উল্লেখ করেন ১৯৮৫ সালে তিনি আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন বলেও বইটিতে উল্লেখ করা হয়। মূলত আশুগঞ্জ প্রেসক্লাটি ১৯৯৩ সালে সর্ব প্রথম আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় এবং ১৯৯৫ সালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত মিজানুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক ছিলেন বর্তমান সভাপতি সেলিম পারভেজ।
সাজুর লেখা বইটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করে বই লেখার অভিযোগে প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু বাদি হয়ে বইটির লেখক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ও বইটির প্রকাশক রোকসানা বেগমকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্যট (আশুগঞ্জ) এর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এই মামলার পরবর্তী তারিখ ৭ সেপ্টস্বর।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির জানান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইতিহাসকে বিকৃত করে অধ্যক্ষ শাহজাহান সাজু উদ্যেশ্য প্রনোদিত হয়ে এই বই লিখেছে। আমরা এই বইটিকে বাতিলেন দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ইতিহাস নিয়ে মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে বই লেখার কারনে শাহজাহান সাজুর শাস্তির দাবি করছি।