আগরতলার চালের গাড়ি আশুগঞ্জ ছেড়েছে ।চাল যাচ্ছে বিনা শুল্কে
নিজস্ব প্রতিবেদক::বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ প্রহরায় পাঁচ হাজার ৮০ মেট্রিক টন চালের গাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে ত্রিপুরার দিকে রওনা দিয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাভার্ড ভ্যানগুলো পথে সোহাগপুরে অপেক্ষা করছে।
এর আগে বিকাল ৩টায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ খাদ্য শস্য কাভার্ড ভ্যানে তোলা হয়। কলকাতার ডায়মন্ড হারবার পোর্ট থেকে প্রথম দফায় পাঁচ হাজার ৮০ মেট্রিক টন খাদ্য নিয়ে আসা পাঁচটি কার্গো জাহাজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে।পরিবহন কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের জিএম মিজানুর রহমান জানায়,ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কাঁকিনাড়া থেকে এসব চাল ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ৩৫০ কিলোমিটার নৌপথ ও ৪৫ কিলোমিটার স্থলপথ ব্যবহার করা হচ্ছে।
১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় এবার ১০ হাজার টন চাল যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরায়।নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বিশেষ মানবিক কারণে কোনো প্রকার শুল্ক ও ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই এই খাদ্যশস্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতে যাচ্ছে। ভারতের আসাম রাজ্যের লামডিং-শিলচর রেলপথ বন্ধ থাকায় ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ভারত সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে এ সুবিধা দিচ্ছে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
আশুগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর জানান, ভারতীয় চাল নিয়ে পাঁচটি জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরের জেটিতে নোঙর করেছে। বন্দরে পুলিশি কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রহরায় এসব চাল আশুগঞ্জ থেকে ত্রিপুরা সীমান্ত এলাকায় পৌঁছে দেয়া হবে। আশুগঞ্জ বন্দর জেটিতে ভারতীয় মালামাল প্রহরার জন্যে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে এখনো আশুগঞ্জ নৌবন্দরের কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট মেরামত করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বন্দর জেটি থেকে আশুগঞ্জ গোল চত্বর পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার করতে দেখা গেছে।