আশুগঞ্জে অপরিকল্পিত ভাবে ওয়ারহাউজ নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে স্বারকলিপি
প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বন্দরে অপরিকল্পিত ভাবে ওয়ারহাউজ কাজ বন্ধ করে বন্দর রক্ষার দাবিতে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপসহ ৫টি সংগঠনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের বরারব স্বারকলিপি প্রদান করেছে। স্বারকলিপিতে দ্রুত ওয়ার হাউজ কাজ বন্ধ না হলে নৌ বন্দওে প্রতিদিন লোড-আনলোড কাজ ব্যবহুত হবে বলে বলা হয়েছে।
জানাযায় দেশের অন্যতম নৌবন্দও হিসাবে পরিচিত আশুগঞ্জ আর্ন্তজাতিক নৌবন্দর। এই বন্দও দিয়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক স্থানীয় ট্্রাক ও ৩ শতাধিক বহিরাগত ট্্রাক জাহাজসহ নৌ পরিবহন গুলো থেকে মালামাল লোড ও আনলোড করা হয়ে থাকে। যেখানে প্রতিদিন ১০হাজার শ্রমিক লোড-আন লোড কাজ করছে প্রতিদিন। বিআইডব্লিউটি অপরিকল্পিত ভাবে ওয়ারহাউজ নির্মাণ করায় বন্দরের সকল কাজে ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা। বৃহ¯হপ্রতিবার আশুগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে জেলা ট্্রাক মালিক গ্রুপ, জেলা সার সমিতি, পরিবহন ঠিকাদার সমবায় সমিতি, মটর বোট মালিক সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্্রাক চালক ইউনিয়ন এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে বন্দরের ভবিষ্য চিন্তা না কওে বিআইডব্লিউটি বন্দরের মাঝখানে ট্্রাক চলাচল ও ডাম্পিক এর স্থলে ওয়ারহাউজ ও অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে বন্দরের ৪৩ ফুট প্রস্থ রাস্তা ২০ ফুটে নেমে এসেছে। ট্্রাকসহ বন্দরের মালমাল লোড-আনলোড়ের বন্ধের উপক্রম হচ্ছে। তাছাড়া এই বন্দও দিয়ে গত বছর ভারতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আনা হয়েছে হয়েছে। চলতি বছওে ভারতে ১০হাজার মেট্্িরক টন খাদ্যশস্য এই বন্দও দিয়ে আনার কথা রয়েছে। আর এই নির্মান কাজ বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই বন্দও দিয়ে লোড-আন লোড কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পাওে বলে মনে করছেন বন্দও সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়িরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্্রাক চালক ইউনিয়ন এর সভাপতি ইদন মিয়া মিন্টু জানান বর্তমানে বন্দরের যে আয়তন আছে তা সম্প্রসারণ করা দরকার। আর তা না করে বিআইডব্লিউটি এ যে ওয়ার হাউজ নির্মাণ করছে।
জেলা ট্্রাক মালিক গ্রুপ এর সভাপতি হাজী তৌহিদুল ইসলাম নাছির জানান আশুগঞ্জ বন্দরের ৫টি সংগঠনই একত্রিত হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। পাশপাশি তিনি আরও জানান বিআইডব্লিউটি এ যে ওয়ার হাউজ নির্মাণ করছে তা সমগ্র বন্দরের কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। আশা করি আমাদেও দাবি মেনে নেওয়া হবে। নতুবা দাবি আদায়ের জন্য ঈদেও পর কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দিপ কুমার সিংহ জানান স্মারকলিপিটি জেলা মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।