আশুগঞ্জে কম্প্রেসার স্টেশনের একটি ইউনিট পরীক্ষামুলক ভাবে চালু
জাতীয় গ্যাস সঞ্চলান লাইনে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক রাখতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ কম্প্রেসার স্টেশনের ৪টি ইউনিটের মধ্যে একটি কমপ্রেসার ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।এই কমপ্রেসার ৭২ ঘন্টা সফল ভাবে চললে এটি বানিজ্যিক ভাবে চলতে থাকবে।গত ৫ এপ্রিল পরীক্ষামুলক ভাবে এটিসহ ৪টি ইউনিট চালু করা হলেও তখন তা সফল হয়নি। আশুগঞ্জ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লি: (জিটিসিএল)এর উপ-মহাব্যবস্থাপক আবদুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রায় ৯শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ কমপ্রেসার স্টেশন সফলভাবে কাজ শেষ হবার পর প্রধানমন্ত্রী এ স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করবেন বলেও জানান তিনি।মোট ৪টি ইউনিটের মধ্যে এ ইউনিটটি চালু হবার ফলে চট্রগ্রাম এবং ডেমরা লাইনের গ্যাস গ্রাহকদের সমস্যা কেটে যাবে। আবদুল মোমেন জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদিত গ্যাস দুইটি পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আশুগঞ্জ মেনিফোল্ড স্টেশনে। এখান থেকে চারটি পাইপ লাইনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। গ্যাস উত্তোলনের পর তা এক হাজার পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চ) চাপে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও সরবরাহ লাইনে বিপরীতমুখী শক্তি ও বাধায় এই চাপ দূরত্ব অনুসারে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্রিড লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হলে আশুগঞ্জে পৌঁছতে এই চাপ ৭৫০, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৫ থেকে ৬শ এবং খুলনা-রাজশাহী অঞ্চলে ৪শ পিএসআই বা তারও নিচে নেমে যায়। এভাবে চাপ কমার ফলে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। তবে, স্টেশনটি পুরোদমে চালু হলে তা কেটে যাবে।