আশুগঞ্জে সুটকেস কারখানার স্টোরকিপার নাজমুল হত্যা ঘটনায় অবশেষে মামলা
প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সুটকেস কারখানার স্টোরকিপার নাজমুল হক হত্যা ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।পুলিশের টালবাহানা আর কোম্পানী মালিক আওয়ামীলীগ নেতার গড়িমসির কারণে হত্যাকান্ডের ৪ দিন পর আশুগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয়েছে।নাজমুল হকের পিতা আবদুল ওয়াহেদ বাদী হয়ে গত রবিবার বিকালে এ মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় সুটকেস কোম্পানীর ম্যানেজার আশুগঞ্জ সদরের সোনারামপুর গ্রামের আবদুল আজিজের পুত্র আবদুল করিম(৩৫) কে প্রধান আসামী করে তার আরো ৯ সহযোগীকে আসামী করা হয়েছে।মামলায় অভিযোগ করা হয়,নবীনগর উপজেলার বীরগাও ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের নাজমুল হক গত এক বছর যাবৎ নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমানের মালিকানাধীন আশুগঞ্জের কলাবাগান এলাকায় ড্যানিয়েল কর্পোরেশন সুটকেস কারখানায় স্টোরকিপার হিসাবে কর্মরত আছেন।মামলার প্রধান আসামী আবদুল করিম কোম্পানীর ম্যানেজার হিসাবে প্রায়ই অন্য কর্মচারিদের সহায়তায় কোম্পানীর খরচের তুলনায় অতিরিক্ত খরচ কম্পিউটারে এন্ট্রি করতো।এ ঘটনায় নাজমুল হক প্রতিবাদ করায় এবং মালিক হাবিবুর রহমানকে জানানোয় আবদুল করিম ও তার সহযোগীরা নাজমুল হকের উপর ক্ষিপ্ত হয়।এ নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরী হয় বলে নাজমুল তার বাবা ও পরিবারের লোকদের জানায়।এ ঘটনার জের ধরেই গত ৪ জুন রাত ১০ টার দিকে আবদুল করিমের সাথে নাজমুলের ব্যাপক বাক-বিতন্ডা হয় বলেও নাজমুল তার স্ত্রীকে ফোনে জানায়।এদিন রাতে নাজমুল ঘুমিয়ে পড়ার পর আবদুল করিম ও তার সহযোগীরা তাকে খুন করে।মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়,নাজমুল যে ঘরে ঘুমাতো তার পাশের ঘর থেকে সহজেই বাথরুমের উপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে এবং ফ্লাইবোর্ডের তৈরী জানলা খুলে এ ঘরে আসা-যাওয়া করা যায়।বাদী আরো অভিযোগ করেন,মামলার প্রধান আসামী মালিক হাবিবুর রহমানের আত্মীয় হওয়ায় তিনি শুরু থেকেই মামলাটি না করার জন্য গড়িমসি করতে থাকেন।এমনকি নাজমুলকে হত্যার পরদিন দুপুরের পর আশুগঞ্জের কলাবাগান এলাকায় নাজমুলের লাশ উদ্ধারের পর মালিক হাবিবুর রহমানের সামনে উপস্থিত আবদুল করিম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে বলা হলেও হাবিবুর রহমানের বাঁধার কারণে তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।এমনকি আশুগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর থেকেই এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে চালানোর চেষ্টা করতে থাকে।তারা প্রথম থেকেই মামলা না নিতে টালবাহানা করতে থাকে।বাদী আরো অভিযোগ করেন,কোম্পানীর মালিক হাবিবুর রহমানকে আসামীদের রক্ষার জন্য নানা ফন্দিফিকির করতে পারে।মামলায় উল্লেখ করা হয়,নাজমুলের লাশ উদ্ধারের পর তার শরীরের গলায়,হাতের বগলের নীচে,বুকের উপরের বাম দিকে,বাম হাতের কাঁধে,দুই পায়ের হাটুর নীচে জখমের দাগ পাওয়া গেছে।