Main Menu

আশুগঞ্জে ‘ধর্ষণের’ শিকার শিশু ছয় মাসের অন্তসত্ত্বা, থানায় মামলা!!

+100%-

পুতুল, গোল্লাছুট ও বউচি খেলা, সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো- এসব নিয়েই প্রাণোচ্ছল থাকার কথা ছিল ১২ বছরের শিশুটির। কিন্তু এসবের কিছুই সে করতে পারছে না। তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ প্রায় পাঁচ মাস ধরে। লজ্জায় বাইরে বেরোনোও বন্ধ। কেন না আর চার মাস পরই তার কোলজুড়ে আসবে গর্ভের সন্তান! চাচাতো ভাইয়ের লালসার শিকার ওই শিশুর এখন দিন কাটে শুধু চোখের পানি ফেলে।

গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, পরিবারটির সবার ভাবনাজুড়েই এখন শিশুটির ভবিষ্যতের কথা। এ বয়সে মা হয়ে সন্তানের যত্নে কতটুকুই বা কি করতে পারবে শিশুটি। ওই সন্তানের পিতৃপরিচয়ই বা কি হবে।

শিশুটির মা জানান, মাস চারেক আগে থেকেই তাঁর মেয়ে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনীহা দেখাতে থাকে। প্রায়ই তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ত। স্কুলে যেতে চাইত না। অনেক বলাবলির পর সে জানায়, তার চাচাতো ভাই দিদার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ডাক্তার দেখিয়ে বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত হন। শিশুটি বর্তমানে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্ব্বা।

শিশুটির মা বলেন, ‘মাইয়ার বাপে রিকশা চালায়। ৯ জনের সংসার চালাইতে খুব কষ্ট। মাইয়ার চাচি কোনোখানে গেলেগা হেই হেরা বাড়িত থাকত। এই ফাঁকে দিদার এই কাম করেছে। আমার মাইয়ারে কইছে বিয়া করব। অহন সব অস্বীকার করে।’ তিনি বলেন, এ ব্যাপারে গত ২২ মে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এক কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

এদিকে অভিযুক্ত দিদার মিয়া মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। কিছুদিন আগে ওই (শিশুর) বাড়িটি খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছিলাম। এ জন্য আমার ওপর এ ধরনের কথা তুলে দেওয়া হয়েছে। জোর করে মেয়েটিকে আমার কাছে বিয়ে দেওয়া হবে বলে আমি এখন বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে এসেছি।’

আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দিদারকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।






Shares