Main Menu

আশুগঞ্জে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ: আশুগঞ্জে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ

+100%-

মন্ত্রী, সচিব, দফতরপ্রধান, হাইকমিশনারসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনেই পেরিয়ে গেছে আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের (আইসিটি) ৩ বছর। প্রকল্পটি অনুমোদনের ৪ বছর পার হলেও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজই শুরু হয়নি। বরং সম্ভাব্য ভূমি মালিকরা পড়েছেন বিপদে। তারা না পারছেন নিজস্বভাবে কোনো স্থায়ী অবকাঠামো করে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে; না পাচ্ছেন জমি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা। তারা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ত্বরিত পদক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বিশেষ করে ভূমি অধিগ্রহণ-মূল্য বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। কবে নাগাদ প্রকল্পে অর্থ জোগান বা বাস্তবায়ন শুরু হবে, তা এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারছে না নৌ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসায় পর আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) প্রকল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে একনেকের সভায় অনুমোদিত হয় প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প। তা ছাড়া একই বছর ভারতের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় নির্ধারিত ১৪টি প্রকল্পের অন্যতম আশুগঞ্জ আঞ্চলিক ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্রের বরাদ্দ ছিল ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্ভাব্য প্রায় ১শ’ বিঘা ভূমি অধ্যুষিত এ প্রকল্পে ছিল তিনটি আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল জেটি, কাস্টমস অফিস, বিআইডবি্লউটিএর অফিস, বন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস, কনটেইনার টার্মিনাল, ক্রেন ইয়ার্ড, ওয়্যার হাউস, ইলেকট্রিক সাবস্টেশন, ট্রাক ইয়ার্ড, রেস্ট হাউসসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মূলত ২০১১ থেকে কারণে-অকারণে নদীবন্দর ও প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ বিআইডবি্লউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ভারতীয় বিভিন্ন দফতরের একাধিক দফতরপ্রধান ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল। প্রতিবারই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভূমি মালিকদের বলা হয়েছে, ‘শিগগিরই কাজ শুরু হচ্ছে।’ আশার কথা ছিল, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নসহ উন্নয়ন হবে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতির। গত প্রায় ৪ বছরেও এসব পরিদর্শনের ফল আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের দ্বিতীয় নোটিশ প্রদান করা হলেও পরবর্তী কোনো সরকারি নির্দেশনা না আসায় ভূমিদাতারা হতাশ ও
সিদ্ধান্তহীন।
এ ব্যাপারে ভূমি মালিক জাকির হোসেন জানান, তাদের প্রায় ১৯ দশমিক ৩১ একর ভূমির নোটিশ পেয়েছেন। এখনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় জমিতে কিছু করতে পারছেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিক্রি করতে পারছেন না জমি। বিষয়টি তারা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তারা সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত আশা করছেন।
এ ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক ও বিআইডবি্লউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মঈদুল ইসলাম জানান, সরকারি ভূমির ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পাইনি। ব্যক্তিমালিকানাধীন অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ-মূল্য বেড়ে গেছে। যৌথ অর্থায়নের বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। তবে নিজস্ব অর্থায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ ছাড় হলেই কাজ শুরু হবে।






Shares