আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে জেটি নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ



প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে জেটি নির্মাণের জন্য রাখা সব সামগ্রী সাত দিনের মধ্যে অপসারণ ও স্থাপনা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নদীর অভ্যন্তরে মাটি ভরাট, দখল ও জেটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে জেলার পুলিশ সুপার ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গনির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে নদী দখল করে জেটি নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নৌপরিবহনসচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১০ বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নদী দখল করে যাতে কেউ মাটি ভরাট করতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ থানার ওসি ও বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি জয়েন্ট ভেঞ্চার, মেঘনার বুকে অবৈধ জেটি’ শিরোনামে ১০ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে তিন আইনজীবী পরদিন রিট আবেদনটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।