Main Menu

আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের ৫ জন আহত

+100%-

প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চরচারতলা গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেচকি বাড়ীর হাফিজ মিয়ার হাত পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ এক পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে গুরতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।

আহত ২ জনকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ও ৩ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হাফিজ মিয়া ও তার ছেলে সুজনের অবস্থা আশংকাজনক। এ সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় চরচারতলা গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানাযায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শরিয়তনগর গ্রামের পীর ইকবাল মিয়ার বাড়িতে মাইকে ধর্মীয় জিকির করা নিয়ে পাশের বাড়ির মো. লিটন মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে পুলিশের গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পীর ইকবাল মিয়ার আত্মীয় চরচারতলা গ্রামের মো. হাফিজ মিয়া তার ভাই ও তিন ছেলে নিয়ে শরীয়তনগর এসে ঘটনাটি মিমাংসা করে। ঘটনাটি নিস্পত্ত্বি করে হাফিজ মিয়া তার ভাই ও তিন ছেলে নিয়ে যাওয়ার পথে রেল স্টেশন অতিক্রম করার পর একই গ্রামের সরকার বাড়ির দ্বীন ইসলাম ও শরীয়তনগরের লিটনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং আশ পাশের লোকজন নিরাপদে আশ্রয় নেয়। এই সুযুগে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মো. হাফিজ মিয়ার (৫০) হাত পায়ের রগ কেটে দেয় এবং তার ভাই মো. শামীম মিয়া (৩০), তার ছেলে সুজন মিয়া (২৫), রাজন মিয়া (২২) ও সাজন মিয়া(১৮), কুপিয়ে গুরতর আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনা নিয়ে চরচারতলা গ্রামে কেচকি বাড়ি ও সরকার বাড়ির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, সরকার বাড়ির সন্ত্রাসীদের হামলায় হাফিজ মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন গুরতর আহত হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসী দ্বীন ইসলাম ও লিটনসহ সকলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া চরচারতলা গ্রামে পরবর্তি সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।






Shares