চার মাস পর আশুগঞ্জ সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক, উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে আরো ৫/৬ দিন
প্রতিবেদক : চার মাস বন্ধ থাকার পর পেট্রোবাংলা গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করায় অবশেষে আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার থেকে-ই কারখানাটি স্টার্ট-আপ-(মুল ইউনিট চালু) এ রয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে সব ইউনিট চালু ও ইউরিয়া উৎপাদনে হতে আরো ৫/৬ দিন সময় লাগবে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ দীর্ঘ সময় কারখানা বন্ধ থাকায় প্রায় পৌনে ৩‘শ কোটি টাকা মুল্যের প্রায় ১‘লক্ষ ৩৪‘হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। কারিগরি বিভাগ জানায়, গ্রীস্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সবগুলি কেন্দ্র ও ইউনিটগুলি সচল রাখতে এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আশুগঞ্জ সারকারখানাসহ দেশের ৫টি সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি এ সিদ্ধান্তের ফলে গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ থেকে সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। ফলে কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। চলতি আগষ্ট মাসের প্রথম থেকে-ই কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি তথা স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অবশেষে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর গ্যাস সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা আশুগঞ্জ সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করলে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার থেকে কারখানার স্টার্ট আপ (মুল ইউনিট চালু) শুরু করে। জানা গেছে, কারখানাটি স্টার্ট আপ এ গেলেও সবগুলি ইউনিট পর্যায়ক্রমে চালু ও ইউরিয়া উৎপাদন হতে আরো ৫/৬ দিন সময় লাগবে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আশা করছেন সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ তারিখে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে। এদিকে কারখানাটির বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫‘লক্ষ ৬৮‘হাজার মেট্রিক হিসাবে দৈনিক প্রায় ১৫‘শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও কারখানাটি বন্ধ হওয়ার আগে কারখানাটিতে দৈনিক মুলত ১‘হাজার বা ১১‘শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হতো। বর্তমানে প্রতিটন ইউরিয়া সারের কারখানা মুল্য ২০‘হাজার টাকা। এ হিসাবে ১২৮ দিন কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২‘শ ৬৮‘হাজার কোটি টাকার মুল্যের প্রায় ১‘লক্ষ ৩৪‘হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। |