প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পর্শে মো. রুহুল আমিন (১৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে দিনভর চলে নাটকীয়তা। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের দেওয়া ’ডেথ সার্টিফিকেটের’ সময় থেকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত রুহুল আমিন বেঁচে ছিল বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা! তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের গাফিলতির কারনেই প্রাণ দিতে হয়েছে রুহুলকে। মো. রুহুল আমিন (১৬) প্রকাশ রুহুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে। পুলিশ রুহুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গত বুধবার সকালে সে নিজ বাড়িতেই বিদ্যুৎস্পর্শ হয়। বিদ্যুৎস্পর্শে আহত হলে রুহুলকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রুহুল আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রুহুলের বাবা মো. ফরিদ মিয়া জানান, বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে একজন নারী চিকিৎসক ও পরে আরো দু’জন চিকিৎসক এসে মৃত ঘোষণা করলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে রুহুল চোখ খুললে তাকে আবারো চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে যাওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নান্নু মিয়া জানান, রুহুলের শরীরে হাত দিয়ে গরম অনুভব করি। হাতের শিরাতেও স্পন্দন থাকায় আমি কয়েকজনকে ভালো করে দেখতে বলি। এ সময় কয়েকজন মিলে শরীরে ম্যাসেজ করলে রুহুল চোখ মেলে তাকায় ও নড়া চড়া করে। চিকিৎসার জন্য তাকে তাৎক্ষনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রুহুলের সঙ্গে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. অহিদ মিয়া বলেন, ’ব্রাহ্মণবাড়িয়া নেওয়ার পর রুহুল জীবিত আছে দেখে চিকিৎসকরা একটি ইনজেকশন পুশ করেন ও অক্সিজেন লাগিয়ে দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। বেলা তিনটার পর টঙ্গী এলাকায় রুহুলের মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে। ঢাকায় পৌঁছে একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানায় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রুহুল মারা গেছে। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) মো. শাহ আলম বলেন, ’মৃত ঘোষণার পরও ওই যুবক বেঁচে থাকায় বিষয়টি একেবারে ঠিক নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা ভালো করে না দেখেই কেন তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগ করা হবে।
|