আড়াইসিধা ও চরচারতলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সম্মেলনে হারুন অর রশিদ
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে
আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ও চরচারতলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আড়াইসিধা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সম্মেলনে সভাপতিত্ব আড়াইসিধা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাকালীন কমান্ডার জহিরুল ইসলাম, এ কে এম নাছির উদ্দিন আহম্মদ, সহকারী জেলা কমান্ডার ফুল মিয়া, জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম মোল্লা, রাসেল খন্দকার, আশুগঞ্জ উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ইকবাল হোসাইন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল আজিজ, জহিরুল হক মাষ্ঠার, সুবেদার আব্দুল সালাম, শেখ আজিজুর রহমান, হিরণ মিয়া, আবুল হাসেম, আব্দুল মালেক, আব্দুল ওয়াহাব, মিজানুর রহমান, তাজুল ইসলাম ভূইযা, রুকন উদ্দিন, মোঃ মতিউর রহমান, আব্দুল গফুর, মধু মিয়া, মোঃ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। সম্মেলনে তাজুল ইসলাম খানকে সভাপতি ও মোঃ সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিস্ট আড়াইসিধা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড গঠন করা হয়।
এদিকে বিকাল ৩টায়চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে চরচারতলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধ সংসদ সন্তান কমান্ডের সম্মেলন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শাহ আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ। কোরআন তেলওয়াত করেন নুরুল আমিন খন্দকার। সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের সর্বপ্রথম খন্দকার খন্দকার জাহাঙ্গীর। সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা কমান্ডার ডাঃ আব্দুল হালিম সরকার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জলিল, দুধ মিয়া, তাজুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, আব্দুল হালিম, আবু তাহের, আবুল হোসেন, মোঃ শফর আলী, হিরন মিয়া, আবু সায়েদ, আব্দুল হেকিমসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে খায়রুজ্জামানকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ২১ সদস্য বিশিষ্ট চরচারতলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড গঠন করা হয়। দুটি সম্মেলনেই প্রথমে জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবর্গ, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া করা হয়।
সম্মেলনদ্বয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নি:স্বার্থ ভাবে নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার্থে এবং সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করণের স্বার্থে বিশ্বনেত্রী বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদেরকে কৌটা ভিত্তিক ৩০% কৌটা বরাদ্দ করে দেন। কিন্তু দু:খের বিষয় আজকে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর ২০১৮ সালে এসে স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল কৌটা বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করে। কিন্তু আমরা জাতীর সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তাই আমরা এই রিট কখনো মানতে পারিনা। আর এই অপমানের রিট না মানার কারণ হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মান রক্ষা করা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা করা। কারণ এই কৌটা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বরাদ্দকৃত কৌটা। তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের মাধ্যমে আমাদের অধিকার ৩০% কৌটার বহাল রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং রিট এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কারণ, রিট করে স্বাধীনতা পাইনি, যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছি। এবং একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা কৌটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানগণ শুধু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেই যাতে চাকরি পায় সে দাবী জানানো হয়। এ সময় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য উধাত্ত্ব আহবান জানিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে।