দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু এলাকা পরিদর্শন করছেন রেলওয়ে মহাপরিচালক
‘ভৈরব-আশুগঞ্জের দ্বিতীয় রেলসেতু আগামী মার্চে চালু হচ্ছে’
ডেস্ক ২৪:: ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনা নদীর উপর নির্মাণাধীণ দ্বিতীয় রেলসেতু প্রকল্পের প্রায় ৮৭ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে রেল সেতুর কাজ সম্পন্ন করে এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল চালুর করার আশা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আর এই রেলসেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ভ্রমনে সময় কম লাগবে ও পণ্য পরিবহন সহজ হবে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল হাই। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল/ডুয়েল গেজে রুপান্তরের এক মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশুগঞ্জ-ভৈরব সীমায় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে ২য় ভৈরব সেতু।
ভারতীয় জয়েন্ট ভেঞ্চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন-এফকনস্ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পটির ইতোমধ্যে প্রায় ৮৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। ফলে আগামী মার্চে সেতুটি চালুর আশা করছে রেলওয়ে।ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল/ডুয়েল গেজে রুপান্তরের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম-চিনকি- লাকসাম ও ঢাকা-টঙ্গী-ভৈরব, লাকসাম-অংশের ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
২য় ভৈরব রেলসেতু ও তিতাস রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শেষে হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরো অংশে ডাবল/ডুয়েল লাইন হবে। ফলে ঢাকা-চ্ট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রীরা যেমন অল্প সময়ে আরামদায়ক ভ্রমন সুবিধা পাবে তেমনি পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এসময় মহাপরিচালকের সাথে অন্যান্যদের মাঝে রেলওয়ের অতিঃ মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম,নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইরফানুল হক,সেতু নির্মান প্রকল্পের ভারতীয় কনসালটেন্ট অমিতাব দত্ত,বাংলাদেশী কনসালটেন্ট মোঃ খলিলুর রহমান সহ রেলওয়ে ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
« আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বাঞ্ছারামপুরের জনপ্রতিনিধিরা দলীয় আনুগত্যে নজির সৃষ্টি করবেন — আল মামুন সরকার (পূর্বের সংবাদ)