Main Menu

ভৈরবে তূর্ণা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

+100%-

কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার তূর্ণা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা অনার্স কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড়ে ওই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। গত ২৪ এপ্রিল স্বামীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তূর্ণা।

দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল তূর্ণার অভিযুক্ত হত্যাকারী স্বামী আরিফুল হক রনির ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দুর্জয় চত্বর এলাকায় মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে হাতে হাত রেখে মানববন্ধন তৈরি করেন। এ সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, টাকার বিনিময়ে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তূর্ণা হত্যাকাণ্ডটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই অপচেষ্টায় তাঁরা যাতে সফল হতে না পারেন, এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ দেশবাসীর সজাগ দৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা।

এ সময় বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী অধ্যাপিকা নাহিদা আক্তার জাহান, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক কাজী শরিয়ত উল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক জিয়ারত আলী মৃধা, প্রভাষক আব্দুল মোতালিব, টিপু সুলতান, ফুরকান উদ্দিন, জেসমিনা খানম, বদরুজ্জামান বাদল, রোজিনা আক্তার, আফরোজা বেগম, উম্মে সালমা, শরীর চর্চা শিক্ষিকা পারভীন আক্তার, একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর মো. মফিজুল ইসলাম মফিজ, কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন, সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রভা সাঞ্জিব, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুন্নাহার কণা প্রমুখ।

পরিবারের অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মফিজুল হকের মেয়ে এবং স্থানীয় প্রভাতী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা কামরুন্নাহার তূর্ণাকে গত ২৪ এপ্রিল ভোরে স্বামী আরিফুল হক রনি নির্মমভাবে হত্যা করেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিন বছর বয়সী এক মেয়ের মা এবং তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা তূর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হাত-পায়ের রগ কেটে বাসার ছাদের একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকিতে রেখে পালিয়ে যান রনি।

পরে ওই দিন বিকেলে পরিবারের সহায়তায় তূর্ণার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তূর্ণার বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে আরিফুল হক রনিকে প্রধান এবং অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

হত্যার পর প্রায় এক মাস পলাতক থাকার পর গত ২১ মে আশুগঞ্জ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন রনি। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২৪ মে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।সূত্র: এনটিভি






Shares