চলে গেলেন আশুগঞ্জের ইউএনও আমিরুল কায়ছার
অবৈধ উচ্ছেদ অপসারন করতে গিয়ে প্রভাবশালিদের রোষানলে পড়ে অবশেষে নিজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা ছাড়লেন সদ্য বিদায়ি নির্বাহী অফিসার মো.আমিরুল কায়ছার। সোমবার দুপুরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা ত্যাগ করেন। এসময় এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাকে আশুগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষ চোখের জ্বলে বিদায় জানান এই সরকারি কর্মকর্তাকে। এসময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার আমিরুল কায়ছার হাত তুলে শুধু তিনি সকলের কাছে কর্মজীবনের জন্য দোয়া কামনা করেন। তবে তিনি সোমবার কোন বিদায়ী সংবর্ধণা অনুষ্টানে যোগ দেননি।
উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় গত ২০১৬ সালে ১২ জুন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর আশুগঞ্জে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ রোধ, আধুনিক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন নির্মাণ, প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় গুলোতে মিড ডে মিল চালু, উপজেলা পরিষদে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পার্ক স্থাপনসহ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করলে সরকারি ক্যাচারি পুকুরে পার্শ্বে র্দীঘ দিন দখলে থাকা সরকারি জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে প্রভাবশালিদের রেষানলে পড়তে হয় উপজেলা নির্বাহী আিফসার আমিরুল কায়ছারকে। এরই ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে একটি সংস্থা একটি মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে চট্্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বান্দরবন পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। তার বদলির আদেশ খবর পাওয়ার পর থেকে আশুগঞ্জে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছারের বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রতিবাদসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মানববন্ধন, এক ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ ও রাস্তায় টায়ার জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ করে আশুগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষ।