কেউ জানতে বাকি নেই, আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে নেমেছে: আহমদ হোসেন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, আগামী এক তারিখে নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী তার নামও আমি ভুলে যাই, চিনি না আমি। প্রার্থীর জনমত নয়, আমাদের নৌকার জনমত, আওয়ামী লীগের জনমত, আওয়ামী লীগের শক্তি। এটা কি কেউ জানতে বাকি আছে, বাংলাদেশের সবাই জানে, মিডিয়ায় নিউজও করতেছে আওয়ামী লীগ এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাকে নিয়ে নামছে। তার মানে আওয়ামী লীগের শক্তি যে কোন জিরোকে হিরো করতে পারে। আওয়ামী লীগের শক্তি হিরোকে জিরো করতে পারে। আওয়ামী লীগ হেরেছে শুধু চক্রান্তের কাছে, আন্দোলনেও হারে নাই-নির্বাচনেও হারে নাই। কারণ আমাদের নেতা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এই নির্বাচনে জয়লাভ করা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার। সে (আব্দুস সাত্তার) আমাদের ট্রাম্প কার্ড।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন মিলনায়নে আয়োজিত সাবেক এমপি ও বিএনপির বহিস্কৃত আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে এক কর্মী সভায় তিনি এই কথা বলেন।
এসময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, উনারা এনেছেন ফারহানাকে। ফারহানা তোমার বাবা আওয়ামী লীগ করতো, পরে গিয়েছে মুস্তাকের দলে। তোমার শরীরের ঘাম ঝড়ে নাই, মানুষের সাথে সম্পর্ক নাই। তুমি সংরক্ষিত আসনের এমপি হয়ে হাজার পাওয়ারের বাল্ব হয়ে গেলা।সে নাকি নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছে। একটা চুটকি আমার নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে। আপনারা ১ তারিখ জবাব দিবেন কলার ছড়াতে। নির্বাচনে কলার ছড়ার প্রার্থীকে চিনি না, আমরা কলার ছড়াকে চিনি আর শেখ হাসিনাকে চিনি। আপনারা কি বুঝেন না! কাটা দিয়ে কাটা তুলার রাজনীতি বুঝেন আপনি! বিএনপির পদত্যাগ করা প্রার্থীকে আমরা কেন দিলাম? এর রাজনৈতিক একটা তাৎপর্য আছে কিন্তু। যার আক্কেল আছে তাকে ইশারা দিলেই বুঝে, আর যে বেক্কল তাকে ধাক্কাইতে হয়। আগামী দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এটা সেমিফাইনাল, সেই সেমিফাইনালে জিততে হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হব। ১ তারিখ সন্ধ্যার পর খবর হবে কলার ছড়া জিতেছে, নৌকা জিতেছে। কলার ছড়ার অপর নাম নৌকা। বেনামে দিলাম আরকি। এটা মনে করেই চলবেন। দেখলেন না, লোকজন সব আওয়ামী লীগের, নাম দিলাম সমর্থক গোষ্ঠি। আসলে বাসুরের নাম বলা যায় না। এখানে সবই আমরা।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান সাজু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বার এমপি ছিলেন।