আশুগঞ্জ-ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতু:: দু’দফা সময়েও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ



নির্ধারিত দু’দফা সময়েও মধ্যে শেষ হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন দ্বিতীয় রেল সেতুর নির্মাণকাজ। চুক্তি অনুযায়ী গত জুন মাসে ৩০ মাসের মধ্যে সেতুর ৭৫ ভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। বলা হয় ডিসেম্বরে শেষ হবে নির্মাণকাজ। তারপর আবার সময় বাড়িয়ে এখন বলা হচ্ছে আগামী বছর মার্চ মাসে শেষ হবে নির্মাণকাজ। আর বৃহস্পতিবার রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। নির্মাণাধীন সেতুর প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলটি দাবি করেছে বর্তমানে দ্রুত গতিতে সেতুর স্পেন বসানোর কাজ চলছে। বাকি কাজ আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করে এই রেল সেতুটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলটি।
আর রেল সেতু নির্মাণকাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগে থেকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা নিয়ে। এই নিয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল। এবং তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে। তারপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা নেয়নি।
জানা যায়, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট এবং নোয়াখলী ও ময়মনসিংহের সঙ্গে চট্টগ্রাম- এ চারটি রেলপথ নিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল রেল বিভাগ হিসেবে পরিচিত। এ রেলপথে মেঘনা নদীর ওপর অন্য আরেকটি আবদুল হালিম রেলওয়ে সেতু রয়েছে। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ডাবল লাইনে রেল যোগাযোগা বাড়াতে ভারতের রাষ্ট্রীয় ঋণ (এলওসি) আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় রেল সেতুর কাজ ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। প্রায় ৯৮২.২ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটির নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয় ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ভারতের ইরকন-এফকন জেভি নামে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ নির্মাণকাজ করছে।সূত্র: যুগান্তর