আশুগঞ্জে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টা, মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকী
প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে সোহরাব মিয়া নামে এক পাষন্ড। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটে। সোহরাব মিয়া শরীফপুর ইউনিয়নের রমজান মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী শিশুটি শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্রী। নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মাঝেরচর এলাকার মো. ফয়েজ মিয়ার ছোট মেয়ে শিশুটি।
এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার শিকার শিশুটি প্রায় চার বছর যাবত উপজেলার শরীফপুর এলাকায় তার নানা মন্নাফ হাজির বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন। সে শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়াশুনা করে। আসামী সোহরাব মিয়া প্রতিনিয়ত শিশুটিকে বিরক্ত করত। এমতাবস্থায় শিশুটি মানষিকভাবে বিপর্যস্থ হতে থাকে। এতে তার অভিবাবককে জানানোর পরেও কোন প্রতিকার পায়নি শিশুটির পরিবার। ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটি বাড়ির বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা করার সময় সোহরাব মিয়া তাকে ঝাপটে ধরে তার বাড়ির নিজ ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকার ও কান্নাকাটির কারনে এলাকার লোকজন গিয়ে সোহরাবের ঘরে গিয়ে তার কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় সোহরাব পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ব্যাপারে শিশুটির মা কুলসুম বেগম বাদি হয়ে সোহরাব মিয়াকে আসামী করে ২২.১২.১৬ তারিখে আশুগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে সোহরাব মিয়া এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়ালেও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নিতে বাদিকে ও তার নিকটআত্বিয়দের প্রতিনিয়ত হুমকী ধামকি প্রদান করছে। এতে শিশুটির পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভ’গছেন।
শিশুটির মা কুলসুম বেগম জানান, ঘটনার পর থেকেই সোহরাব মিয়ার পরিবারের লোকজন চাপ দিচ্ছে। মামলা করার পর থেকে চাপ আরো বেড়ে গেছে। এখনো মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারিনি। তারপরেও মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে আসামীর পক্ষের লোকজন। আমি এর শুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, বাদির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মামলা গ্রহন করেছি। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আসামী সোহরাব মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। সে পলাতক রয়েছে।