আশুগঞ্জে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ৪শ বস্তা টিএসপি সারসহ ট্রাক জব্দ॥



নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কৃষকদের জন্য সরবরাহ করা সরকারী সার অবৈধ ভাবে পাচারের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ট্রাকসহ ৪শ বস্তা টিএসপি সার আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত ট্রাকে তিউনিশিয়া থেকে আমদানিকৃত ৫০ কেজি করে ৪শ বস্তায় ২০ মেট্রিকটন টিএসপি সার জব্দ করে। রবিবার দুপুরে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ টোল প্লাজা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাক ভর্তি সার আটক করে পুলিশ। সারের কোন উপযুক্ত বৈধ কাগজপত্র না থাকায় রবিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সারের মালিককে ২০হাজার জড়িমানা ও জব্দকৃত সার উপজেরা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, রবিবার বেলা ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে আশুগঞ্জ থেকে ট্রাকে অবৈধ ভাবে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে সার পাচার হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। অপর আরেকটি ট্রাক নোমান পরিবহনের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাচ্ছে। সার গুলো তিউনিশিয়া থেকে আমদানিকৃত টিএসপি সার। উপজেলার টোল প্লাজা এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে ট্রাকটি আটক থানায় নিয়ে আসে। পরে কাজগপত্র যাচাই বাচাই করে বৈধ কাগজ পাওয়ায় নোমার পরিবহনের ট্রাকটি ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী এসএ পরিবহনের ট্রাকটি বৈধ কোন কাগজ পত্র না দেখাতে পারায় যাচায় বাচায় শেষে রবিবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসএ পরিবহনের মালিক এনামুল মিয়াকে ২০হাজার টাকা জড়িমানা করেছে। উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হিরার নিদের্শনায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা আক্তার। সেই সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হকের মাধ্যমে জব্দকৃত সার নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম তালুকদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাক গুলো আটক করা হয়। তবে ট্রাক গুলোর মধ্যে নোমান পরিবহনের ট্রাকের মালামালে বৈধ কাগজপত্র থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী এসএ পরিবহনের ট্রাকের মালামালের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিককে জড়িমানা করা হয় এবং মালামাল জব্দ করে কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে সার নিলামের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।